ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কলাক্ষেতে উদ্ধার দুই মরদেহের পরিচয় মিলেছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
কলাক্ষেতে উদ্ধার দুই মরদেহের পরিচয় মিলেছে

নরসিংদী: নরসিংদীর রায়পুরার আদিয়াবাদে নির্জন কলাক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত দুই মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) স্বজনেরা থানায় এসে তাদের মরদেহ শনাক্ত করেন।

 

নিহতরা হলেন- জেলার শিবপুর উপজেলার যোশর ইউনিয়নের পাহাড়ফুলদী গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে দ্বীন ইসলাম (৩৪) এবং রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুরা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে আলী হোসেন (৪২)।

পুলিশ ও স্বজনদের ধারণা, জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

নিহত দ্বীন ইসলামের স্ত্রী শাহিদা বেগম জানান, এক গণ্ডা জমিতে তাদের বসত ঘর। সেখানে এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে তাদের বসবাস। তার স্বামীর কাজের প্রতি অনিহা ছিলো, তবে নিয়মিত তিনি জুয়া খেলতেন। রোববার বিকেলে তার মোবাইলে একটি কল আসে। ফোনে কথা বলার পরই তিনি ‘বাজারে যাই’ বলে বেরিয়ে যান। ওই রাতে আর বাড়িতে ফেরেননি। অনেকবার কল দিয়েও তার মোবাইল বন্ধ পান স্ত্রী শাহীদা। পরের দিনও তার কোনো হদিস না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। পরে কলাক্ষেত থেকে দু’জনের মরদেহ পাওয়া গেছে শুনে মঙ্গলবার সকালে রায়পুরা থানায় এসে পরনের কাপড় ও ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করেন।

শাহিদা বেগম বলেন, আমি নিশ্চিত, জুয়া খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে সঙ্গের লোকজনই তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।

নিহত আলী হোসেনের স্ত্রী রেনু বেগম বলেন, তিনি (আলী হোসেন) দিনমজুর ছিলেন এবং দুই সংসারে তার পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে আছে। প্রায়ই তিনি সুযোগ পেলে জুয়া খেলতেন। রোববার বিকেলে তার মোবাইলে কল করে কেউ তাকে যেতে বলে। ওই কল পেয়ে তিনি তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে যান। কোথায় যাচ্ছেন, তা-ও বলে যাননি। রাতে বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করা হয়। গতকাল রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটা ছবি আমাকে দেখান স্বজনেরা। পরে থানায় গিয়ে স্বামীর লাশ শনাক্ত করি।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান বলেন, নিহত দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।  

এই জোড়া খুনের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান ওসি।

এর আগে, রোববার (৪ ডিসেম্বর) রাতে আলী হোসেন ও দ্বীন ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সোমবার দুপুরে উপজেলার শেরপুর এলাকার একটি কলাক্ষেতে দুটি মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত দুজনের মুখ, মাথা, হাত ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিলো। মুখ থেঁতলে যাওয়ায় প্রথমে মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি। পরে তাদের পরনের কাপড় দেখে শনাক্ত করে স্বজনেরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
এসবি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।