ঢাকা: গর্ভকালীন অবস্থায় ‘মেটার্নিটি’ সুবিধা পাওয়া একজন নারী শ্রমিকের অধিকার। কিন্তু সরকার ও গার্মেন্টস মালিকরা খুব কৌশলে নারী শ্রমিকদের এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে মেটার্নিটি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে ফেডারেশনটি।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, মালিকেরা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি এবং অধিকার থেকে বঞ্চিত করেই ক্ষান্ত হয়নি। তারা নারী শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত মানবিক অধিকার মেটার্নিটি সুবিধা নিয়েও রক্ত শোষণ নীতি অবলম্বন করেছে। সরকারও এ ব্যাপারে মালিকদের পক্ষ নিয়েছে। পাবলিক সেক্টরে মেটার্নিটি ছুটি ৬ মাস। কিন্তু গার্মেন্টসসহ প্রাইভেট সেক্টরে মেটার্নিটি ছুটি ৪ মাস বা (১৬ সপ্তাহ) হলেও অনেক ক্ষেত্রেই এর যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, যখন নারী শ্রমিকদের গর্ভাবস্থায় প্রসবের সময় এগিয়ে আসে তখন তারা স্বাভাবিক ভাবেই কম কাজ করে এবং তাদের ওভার টাইমও কম থাকে। কিন্তু শ্রম মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে ছুটিতে যাওয়ার আগে মেটার্নিটি সুবিধায় আগের তিন মাসের গড় বেতন হিসেবে মেটার্নিটি সুবিধা দেয়ার কথা বলা আছে। কিন্তু অনেক গার্মেন্টস নারী শ্রমিকের গর্ভাবস্থার কথা জানতে পারলে তাদের চাকরি চলে যায়। আবার অনেক গার্মেন্টস ছুটি দেয় ঠিকই কিন্তু কোনো মেটার্নিটি সুবিধা দেয়না।
ফেডারেশনের সভাপতি ৬ মাসের মেটার্নিটি ছুটির দাবি জানিয়ে বলেন, শ্রম আইন মোতাবেক পূর্বের ন্যায় মেটার্নিটি ছুটির পূর্ববর্তী ৩ মাসের আয়ের গড় হিসাবকে মাসিক আয় ধরে মেটার্নিটি বেনিফিট প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। পাবলিক সেক্টরের মত গার্মেন্টসসহ প্রাইভেট সেক্টরেও ৬ মাসের মেটার্নিটি ছুটি দাবি করছি।
শ্রম মন্ত্রণালয় এ বছরের ২৫ আগস্ট মেটার্নিটি ছুটি প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ গার্মেন্টস সেক্টরে মেটার্নিটি ছুটি ৬ মাস করার জন্য বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং গার্মেন্টস মালিকদের প্রতি দাবি জানানো হয় শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, সহ-সভাপতি সাফিয়া পারভীন, কোষাধ্যক্ষ নাসিমা আক্তার ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২২
ইএসএস/এসআইএ