ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘সংবিধান অনুযায়ী স্পিকারের সামনে পদত্যাগপত্রে সই করতে হয়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
‘সংবিধান অনুযায়ী স্পিকারের সামনে পদত্যাগপত্রে সই করতে হয়’

ঢাকা: জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের বিএনপির সংসদ সদস্যদের কোনো পদত্যাগপত্র আসেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।  

সংবিধান অনুযায়ী স্পিকারের কাছে সরাসরি গিয়ে পদত্যাগপত্র জামা দিতে হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ৬ জন সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর সংরক্ষিত নারী আসনের এক সংসদ সদস্য নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির মোট ৭ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোলাপবাগ এলাকায় বিএনপির সমাবেশে এ দলটির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তারা ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলেও সমাবেশে জানানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিফ হুইপ নুর ই আলম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপি সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন, এমন কিছু হলে তো জানতাম। সংসদ সচিবালয়ে পদত্যাগ পদ জমা দিলে হয় তো জানতে পারতাম। হতে পারে তারা জনগণকে বোঝানোর জন্য পদত্যাগের কথা বলেছেন। তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, এমন কোনো কথা শুনিনি।

এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে একজন সংসদ সদস্যের পদত্যাগের সাংবিধানিক ব্যাখা তুলে ধরে সাবেক চিফ হুইপ ও অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বাংলানিউজকে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হলে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে গিয়ে নিজ হাতে লেখা পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয় এবং স্পিকারে সামনে পদত্যাগপত্রে সই করতে হয়। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে এ বিষয়গুলো উল্লেখ আছে। রাজনৈতিকভাবে কেউ পদত্যাগের কথা বলতে পারে। কিন্তু পদত্যাগ করতে হলে সংবিধানের নির্দেশ অনুসরণ করে পদত্যাগ করতে হয় এবং এছাড়া কোনো সুযোগ নেই। বিএনপির সদস্যরা পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বলে এমন কিছু শুনিনি। পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়ে পদত্যাগ হয় না, এমন কোনো সুযোগ নেই। ১৯৯১ সালের সংসদেও আমরা (আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা) পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলাম কিন্তু পদত্যাগ হয়নি। হয় তো সরকারকে বিব্রত করার জন্য বিএনপি এটা বলতে পারে। কিন্তু এতে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। সংসদের মেয়াদ আরও এক বছর আছে। কেউ পদত্যাগ করলে বা পদত্যাগের কারণে কোনো আসনশূন্য হলে সেখানে সংবিধান অনুযায়ী উপ-নির্বাচন হবে।

এদিকে আজ গণসমাবেশে রুমিন ফারহানা তার বক্তব্যে বলেন, আমরা দলীয় সিদ্ধান্তে গিয়েছিলাম। সংসদে জনগণের দুর্ভোগের কথা বলা যায় না। এই পরিস্থিতিতে সংসদে থাকা না থাকা সমান কথা। আমরা ই-মেইলে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।