খুলনা: দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪০টি জেলায় গণহত্যা জাদুঘর স্থাপন করা হবে। সে লক্ষ্যে জরিপ করা হয়েছে।
‘বিংশ শতাব্দীর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ গণহত্যা: পরিণাম, প্রতিরোধ ও ন্যায়বিচার’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর এ কথা বলেন।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে সমাপনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সচিব বলেন, অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই স্বাধীনতা আমাদের অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। গণহত্যা, বধ্যভূমি ও নির্যাতনের ইতিহাস সংরক্ষণ এবং এ সংক্রান্ত সংগ্রহশালা তৈরি আমাদের জাতীয় কর্তব্য। এর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সবাই জানতে পারবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন নারকীয় গণহত্যার স্মৃতি যেন মুছে না যায়, সেজন্য স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে স্বাধীনতার ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। স্বাধীনতা হলো আমাদের জাতীয় জীবনের এক মহান প্রাপ্তি, যা আগামী প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।
১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন অধ্যাপক কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, ড. স্মৃতি এস পাটনায়েক, ড. শুভরঞ্জন দাশগুপ্ত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানান ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের ট্রাস্টি সম্পাদক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র এবং ইতিহাস সম্মিলনী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
এমআরএম/এএটি