নীলফামারী: ১৩ ডিসেম্বর নীলফামারী হানাদারমুক্ত দিবস। দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ বাঙালির আত্মত্যাগের বিনিময়ে জেলা শহর আজকের দিনে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয়।
আজও শহীদদের স্মৃতি বহন করে নীলফামারী সরকারি কলেজের বধ্যভূমি। কলেজের পুরোনো একটি কুয়ার মধ্যে অগণিত মরদেহ ফেলে দিয়েছিল স্থানীয় পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর আলবদর ও রাজাকাররা। পরে দেশ স্বাধীনের পর স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের নেতৃত্বে কুয়াটি সংরক্ষণ করে সেখানে তৈরি করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ। আজকের দিনে মুক্তিযোদ্ধারা প্রথম মহকুমা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে একটি বাঁশের খুঁটিতে উত্তোলন করেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন জানান, ৬ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন খাদেমুল বাশার। তার নেতৃত্বে জেলা শহর ১২ ডিসেম্বর রাত থেকে শত্রুমুক্ত হতে থাকে। দিনটিকে স্মরণ করতে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হাতে নিয়েছে নানা কর্মসূচি। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এসএম