ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় ৷ সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ৷
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, নারীশিক্ষায় অগ্রগতি, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ইউএনডিপি ও বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন ৷
এ সময় বাংলাদেশের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের প্রশংসা করেন স্টেফান লিলার।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ অতিথিপরায়ণ। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ও অন্যান্য উন্নয়ন দৃশ্যমান। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের পর থেকেই ইউএনডিপি বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করে আসছে। ’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দারিদ্র্যের হার চল্লিশ হতে একুশ শতাংশে নেমে এসেছে। মাতৃমৃত্যু হ্রাস, মাতৃত্বকালীন ভাতা, অতিদরিদ্র নারীদের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা, মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে স্বাবলম্বী করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরকার ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা বিস্তৃত করেছে। খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি সরকার দরিদ্র শ্রেণির পুষ্টির চাহিদা মেটাতে নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে। বাল্যবিবাহ ও নারী সহিংসতা প্রতিরোধের মাধ্যমে লিঙ্গবৈষম্য অর্জনে বর্তমান সরকার বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছে। তৃণমূল পর্যন্ত নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন সরকার নিশ্চিত করেছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে।
তিনি আরও বলেন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় সরকার কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সংসদ সদস্যদের এলাকাভিত্তিক 'মাই কনস্টিটিউয়েন্সি' এপে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপদ পানি, দারিদ্র্য হ্রাস, বিদ্যুৎ সুবিধা, কৃষি, শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি মৌলিক খাতসমূহের তথ্যাদি এলাকাভিত্তিক সন্নিবেশিত থাকবে যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।
এসময় উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে ইউএনডিপি বাংলাদেশের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।
বাংলাদেশ সময় ২২২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
এসকে/এসএএইচ