ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশ এখন খাদ্যে উপচেপড়া ঝুড়ি: হাছান মাহমুদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
দেশ এখন খাদ্যে উপচেপড়া ঝুড়ি: হাছান মাহমুদ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, বাংলাদেশ আজ খাদ্যে উপচেপড়া ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) আয়োজিত '২৮তম ট্রাব অ্যাওয়ার্ড' অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশকে যারা তলাবিহীন ঝুড়ি বলে অবজ্ঞা করেছিল তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তলাবিহীন ঝুড়ি নয় বরং খাদ্যে উপচে পড়া ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্জনে বিশ্ব আজ বিস্মিত হয়ে গেছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও, ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ্বাসের দেশ হওয়া সত্ত্বেও, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত সত্ত্বেও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। যা বিশ্ব খাদ্য সংস্থাসহ বিশ্ববাসীর কাছে বিস্ময়।

ট্রাবের অ্যাওয়ার্ড আয়োজনের প্রশংসা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদান রেখে চলেছে। বিশেষ করে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে যারা কাজ করছেন, তাদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।

নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে ড. হাছান বলেন, আমরা হয়তো অর্থনৈতিকভাবে সম্পদশালী দেশগুলোর মতো  সমৃদ্ধ না।  হয়তো অর্থনৈতিকভাবে ইউরোপের দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে। কিন্তু আমাদের কৃষ্টি এবং সংস্কৃতিতে পৃথিবীতে সমৃদ্ধ দেশগুলোর মধ্যে আমরা অন্যতম।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাংলা সাহিত্য পৃথিবীর একটি সমৃদ্ধ সাহিত্য এটি ইউরোপের বাইরে সাহিত্যে যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার পান, তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বিভিন্ন পর্যায়ে উন্নতির সম্পর্কে ড. হাছান বলেন, চলচ্চিত্রে অভিনয় ও পরিচালনায় আমাদের দেশের অনেক শিল্পী আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন, পাচ্ছেন। তাদের এই অর্জনকে ধরে রাখতে হলে আমাদের এর উৎকর্ষ সাধন প্রয়োজন। দরকার পরিচর্যা ও স্বীকৃতির। সেজন্য আমি মনে করি এ ধরনের স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে শিল্প-বাণিজ্য, ক্রীড়া ও আর্তমানবতার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে বিশেষ সম্মাননা স্মারকে ভূষিত করা হয়। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ট্রাব সম্মাননায় ভূষিত হন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। চলচ্চিত্র ও সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে মরোণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়।

এছাড়া শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে হাওয়া, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে মেজবাউওর রহমান সুমন, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে চঞ্চল চৌধুরীকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। চলচ্চিত্র, সংগীত, নাটক এবং টেলিভিশন বিভাগের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় ৪৩ জন শিল্পী ও কলাকুশলীদের অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

ট্রাবের সভাপতি সালাম মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এটিএন বাংলার উপদেষ্টা তাশিক আহমেদ, ট্রাবের সাধারণ সম্পাদক অনজন রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক হামিদা খানম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
এসআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।