ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২০৪১ সালে ডিজিটাল থেকে হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২
২০৪১ সালে ডিজিটাল থেকে হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে চলছে সেভাবে এগিয়ে চলুক। এই অগ্রযাত্রা যেন বন্ধ না হয় আমরা এগিয়ে যেতে পারি।

২০৪১ সালে ডিজিটাল থেকে হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। অবশ্যই আমরা সেই জায়গায় যাবো, আমাদের যেতেই হবে।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ প্রিন্সিপাল আবদুর রশীদ অডিটোরিয়ামে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম গ্রাজুয়েশন ডে-২০২২ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা হয়তোবা নাও দেখে যেতে পারেন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। আমাদের মধ্যে হয়তোবা অনেকেই চলে যাবেন। নতুন প্রজন্ম একটি উন্নত বাংলাদেশ পাবে। তারা (নতুন প্রজন্ম) মাথা উঁচু করে চলবে। শিক্ষা-দীক্ষায় সবকিছুতেই তারাই গিয়ে থাকবে। সেটাই হবে বাংলাদেশের ঠিকানা।

পর্যটন শিল্পের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশের পর্যটন জিডিপিতে ১০ শতাংশ পর্যন্ত অবদান রাখে। সেখানে আমরা কোনো ফিগারে আসতে পারিনি। চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমি বিশ্বাস করি আগামী ১০ বছরের মধ্যে এই শিল্পের প্রসার ঘটবে। আমাদের ছেলেমেয়েরাই এই শিল্পকে আকৃষ্ট করবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মূর্খ লোকের অনেক কথা। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে বলেই আমাদের এই অগ্রযাত্রা ও দুর্বার অগ্রগতি। করোনাকাল না এলে হয়তোবা আমরা আমাদের লক্ষে (টার্গেটে) পৌঁছে যেতাম। আমাদের নতুন প্রজন্ম অনেক মেধাবী। মেধাবী ছেলেরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে দেখছে। নতুনভাবে তারা প্রস্তুত হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে, নতুন প্রজন্ম সেই জায়গায় চলে আসছে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, পৃথিবীতে ৮শ কোটি মানুষ। ৮শ কোটি ধরনের রুচি। কাজেই এই রুচির সাথে তাল মিলিয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্টের ছাত্রছাত্রীদের চলতে হবে। একেক দেশ ও মহাদেশে একেক রকম রুচি, একেক রকমের খাদ্য অভ্যাস। আমাদের সেভাবেই চলতে হবে।

কে এম খালিদ বলেন, পৃথিবীর যত পর্যটক আছেন তারা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে ভ্রমণ করতে যায়। আমাদের এখানে যেসব পর্যটক আসে তারা কোথায় যায়? তারা যায়, জাতির পিতাকে নিয়ে যে জাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, পানাম সিটি অথবা লালবাগের কেল্লায় যাবে। এসব জায়গাগুলো আমাদেরকে আরও প্রসারিত করতে হবে।

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, একটা সময় টেলিভিশন বিভাগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ছিল না। এই বিভাগগুলো তৈরি হওয়ার কারণ এখন ছাত্ররা সেই বিভাগগুলো থেকে মিডিয়ায় আসছে। ঠিক একইভাবে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের বিভাগের ছাত্ররা পর্যটন সেক্টরে আসবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে উদার। এই উদারতাকে ধরে রেখে আগামীতে ট্যুরিজম সেক্টরকে এগিয়ে নিতে হবে।

তেজগাঁও কলেজ অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন চেয়ারম্যান মো. আলি কদর, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি কাউন্সিল চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট প্রধান নির্বাহী সাখাওয়াত হোসেন, রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন (ঢাকা) জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম, ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল ফরিদুর রহমান খান (ইরান), তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান রবিন, সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম তাজিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২
এমএমআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।