নারায়ণগঞ্জ: আদালতে ধর্ষণের ডিএনএ রিপোর্ট দাখিল না করে মামলায় আপস-মিমাংসা করে দিতে আসামি পক্ষের কাছে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেড় লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) ফতুল্লা মডেল থানার এসআই গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে আসামির পরিবারের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) একই অভিযোগ স্বরাষ্ট সচিব, ডিআইজি, পুলিশ হেড কোয়াটারসহ বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফতুল্লার কোতালেরবাগ এলাকার মহিউদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া ইউনুছ আলীর ছেলে রিপনকে (২৩) গত ২৫ আগষ্ট বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তখন রিপন কোনো ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত নয় বলে প্রতিবাদ করলেও এসআই গিয়াস উদ্দিন তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান।
এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ধর্ষণ মামলায় কারাগারে বন্দি রয়েছেন রিপন। এর মধ্যে জামিন আবেদন করায় আদালত ধর্ষণের ডিএনএ রিপোর্টসহ জামিন শুনানির দিন ধার্য্য করেন। তখন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে ডিএনএ রিপোর্ট তলব করেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গিয়াস উদ্দিন আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেও ডিএনএ রিপোর্ট নির্ধারিত সময়ে দাখিল করেননি।
গত ১২ ডিসেম্বর এসআই গিয়াস উদ্দিনের কাছে ডিএনএ রিপোর্টের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে গেলে তিনি আসামির বাবা ইউনুছকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেন, ডিএনএ রিপোর্ট দিয়ে লাভ কি! দেড় লাখ টাকা দাও মিমাংসা করে দেই। তখন উপস্থিত লোকজনের সামনে তার কাছ থেকে জোর করে ১০ হাজার টাকা নিয়ে এসআই বলেন, ‘এ বিষয়ে কারো সঙ্গে কিছু বললে ছেলের মতো তুমিও মামলা খাবে। ’
অভিযোগকারী ইউনুছ আলী বলেন, আমার ছেলে বিনা দোষে ৪ মাস যাবত জেল খাটছে। পুলিশ একটু আন্তরিক হলে আমার ছেলে মুক্তি পেতো। আমি আমার অভিযোগের তদন্ত চাই।
এ বিষয়ে এসআই গিয়াস উদ্দিন বলেন, আসামি পক্ষের অভিযোগ মিথ্যা। তাদের কথা মতো ফাইনাল রিপোর্ট দেবো না বলে জানালে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। ডিএনএ রিপোর্ট হাতে আসলে আদালতে দাখিল করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২
এমআরপি/এনএস