সিরাজগঞ্জ: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশের অকৃত্তিম বন্ধু যা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সরকার ও জনগণের যে ত্যাগ ও ঔদার্যের পরিচয় আমরা পেয়েছি, তা শ্রদ্ধার সঙ্গে আমরা স্মরণ করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নানা মাত্রায় চিহ্নিত হয়েছে। প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক কেবল সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐক্যের নয় তার চেয়েও বেশি অর্থ-রাজনীতির। নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুই দেশের সু-সম্পর্ক কার্যকরী ভূমিকা রাখতে অবিকল্প। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম হাইকমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতায়, সেখানেই আজকের এই উৎসবের আয়োজন, সেদিক থেকেও খুবই আবেগের।
বিজয় দিবস উপলক্ষে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশের বিজয় উৎসব’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘বিজয়ের ৫১ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কঃ অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মো. শাহ্ আজম বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সু-সম্পর্কের ভিত্তি নির্মিত হয়েছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। ভারত-বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় থাকে যখন দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এই সু-সম্পর্ক অর্থবহ ও সুদূরপ্রসারী করতে হলে উভয় দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি ও বন্ধুত্বের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে এবং এর মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি সর্বোপরি উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান কলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক মানস ঘোষ ও উপ হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী পর্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনআরবি) সদস্যরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন। সমাপনী পর্বে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২
এসআরএস