ঢাকা: বাংলাদেশ পুলিশকে একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের অনন্য অবদান রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাহিনীটির মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির (বিআরপিওডব্লিউএ) ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সমিতির সভাপতি সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে সভায় কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ-সভাপতি ও সাবেক ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়ালিয়ার রহমান। বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মহাসচিব ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিয়া লুৎফর রহমান চৌধুরী। বার্ষিক বাজেট উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ মো. বকতিয়ার হোসেন ভূঞা পিপিএম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সহ-সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস সাত্তার, পিপিএম।
আইজিপি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের মেধা, মনন এবং শ্রম দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন। অবসর গ্রহণের পরও তারা বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
তিনি বলেন, আপনারা চাকরি জীবনে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে দেশের সেবা করেছেন, এখন অবসরের পরও ক্লান্তিহীনভাবে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে বিশেষ করে শিশুদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
আইজিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশেরও প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এক সময় পুলিশের তদন্ত ছিল সোর্স নির্ভর। আর এখন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে প্রায় ৯০ ভাগ মামলার রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে। পুলিশের কার্যক্রমে এসেছে ব্যাপক গতিশীলতা।
তিনি সমিতির সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম বিশেষ করে মেসবয়দের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়ানোর উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সভায় সমিতির পাঁচ জন বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। কমিউনিটি পুলিশিং ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে বিশেষ অবদানের জন্য কর্মরত ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে এস এম আহসান স্মৃতি পুরস্কার এবং নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর সুরক্ষায় ভিকটিম সাপোর্ট কার্যক্রমে বিশেষ অবদানের জন্য একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রফেসর এনামুল হক লিলি-ড. এম এনামুল হক পুরস্কার দেওয়া হয়।
এছাড়া, পুলিশ পরিবারের সন্তানদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনকারী ৪২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে সমিতি পরিচালিত ‘মরহুম মহীউদ্দিন আহমদ চৌধুরী-এম সহীদুল ইসলাম চৌধুরী শিক্ষা বৃত্তি’ এবং এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনকারী ১৪ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে সমিতির ‘এম এন ভক্ত-শিপ্রা ভক্ত শিক্ষা ফান্ড’ ও ‘কেসি মল্লিক-মায়া শিক্ষা ফান্ড’ থেকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
এজেডএস/এসএ