ঢাকা: বছরে ১ শতাংশ হারে কৃষি জমি কমছে, এটা সঠিক নয়। প্রতি বছর আবাদি জমি কমছে দশমিক দুই শতাংশের মতো।
জমি হ্রাসের তথ্যসহ এমন ব্যাখ্যা দিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) কৃষি শুমারি প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
কৃষি শুমারি প্রতিবেদনে জানানো হয়, আবাদি জমি কমেছে ৪ লাখ ১৬ হাজার একর। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১১ বছর সময়কালে এ জমি কমেছে। তাহলে এক বছরে আবাদি জমি কমেছে ৩৮ হাজার একর।
১১ বছর আগে মোট আবাদি জমি ছিল এক কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার একর। ৩৮ হাজার একর জমি ১১ বছর আগের মোট আবাদি জমির দশমিক ২০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছরে আবাদি জমি কমছে দশমিক ২০ শতাংশ হারে।
শামসুল আলম বলেন, সবাই বলে প্রতি বছর এক শতাংশ হারে আবাদি জমি কমছে। এটা একটি কথার কথা, মিথ। ১ শতাংশ হারে জমি কমলে আমাদের আবাদি জমি শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু শেষ তো হয়নি। আসলে জমি কমছে দশমিক ২০ শতাংশ হারে, যা এক শতাংশের পাঁচ ভাগের এক ভাগ।
কৃষি শুমারি জরিপে উল্লেখ করা হয়, ১১ বছরে কমেছে আউশ ধান চাষের জমি। অন্যদিকে বেড়েছে আমন ও বোরা ধান চাষের জমি। বেড়েছে গম, পাট, আলু ও ভুট্টা চাষের জমি।
১১ বছরে যন্ত্রায়নের পথে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশের কৃষি। কৃষি খাতে ট্রাক্টর বেড়েছে সাত গুণ; পাওয়ার ট্রিলার বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। আর ৫০ শতাংশ বেড়েছে ফসল মাড়াই যন্ত্র। একই সময়ে ফসলের নিবিড়তাও বেড়েছে ৫০ শতাংশ; অথ্যাৎ একই জমিতে বছরের পুরো সময়েই কোনো না কোনো ফসল চাষ হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফলে খাদ্য উৎপাদনে বড় ধরনের সফলতা এসেছে। স্বাধীনতার অব্যবহতি পর দেশে খাদ্য উৎপাদন হতো এক কোটি ১০ টন। এখন একই জমিতে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে চার কোটি টনের বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
জেডএ/এমজেএফ