ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাউফলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিসহ গ্রেফতার ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
বাউফলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিসহ গ্রেফতার ২

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফল উপজলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই দুই ব্যক্তিকে পটুয়াখালী আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম পলাশ গাজী ওরফে জালাল গাজী ওরফে দাঁত ভাঙা পলাশ (৪১)। তিনি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নিমদী গ্রামের বাসিন্দা মো. চান্দু গাজীর ছেলে।  

এদিকে ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম আবুল বাশার (৪০)। তিনি উপজেলার সূর্য্যমনি ইউনিয়নের সূর্য্যমনি গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম আবদুল বারেক মীর।

বাউফল থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ভুরুঙ্গামারী থানার একটি হত্যা মামলায় (মামলা নম্বর ১০, তাং ১৫/১/১৪) ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালত পলাশ গাজীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এর পর থেকে পলাশ পলাতক ছিলেন।

র‌্যাব-৩ এর একটি দল গত সোমবার দিবাগত গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে নারয়ণগঞ্জ এলাকা থেকে পলাশকে আটক করে। পলাশ গাজীর বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা রয়েছে।  

২০১৪ সালের একটি ডাকাতি মামলায় (মতলব দক্ষিণ থানার মামলা নম্বর ৬৮) ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত ১০ বছর ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে বাউফল থানা পুলিশ র‌্যাব-৩ এর সহায়তায় যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে আটক করে।  

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পলাশ ভাড়াটে খুনি। তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা রয়েছে। আর আবুল বাশার চিহ্নিত ডাকাত ও ছিনতাই দলের সদস্য। তাদের আদালতে সোপর্দ করলে, আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।