ভোলা: ভোলার মেঘনায়কার্গো জাহাজ এমভি সাগর নন্দিনী-২ ডুবির ৬ দিন পরও উদ্ধার কাজে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। কবে নাগাদ জাহাজটির উদ্ধার কাজ শেষ হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
বিআইডব্লিটিএ জানিয়েছে, কোস্টগার্ড ও মালিক পক্ষের যৌথ প্রচেষ্ঠায় ৫৫ সদস্য একটি দল গত ৩ দিনে ডুবে যাওয়ায় জাহাজের পানির তলদেশে দুটি সিলিং মেশিন বসাতে সক্ষম হয়। এখনও সেখানে আরও দুটি সিলিং বসানোর চেষ্টা করছে উদ্ধাকারী দল। এরপর সেন্টারিং করে উদ্ধারকারি জাহাজ জোহুর ও হুমায়ারি দিয়ে টেনে তোলা হবে। কিন্তু ঘন কুয়াশা এবং জোয়ার-ভাটার কারণে উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটছে।
পদ্মা ওয়েল কেম্পানির ডিজিএম আসিফ মালেক জানান, খুব দ্রুত জাহাজটি উদ্ধারের চেস্টা চলছে। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজে ১১ লাখ ৫০ হাজার ডিজেল ও অকটেন ছিল। কী পরিমাণ তেলের ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে সময় যত বাড়ছে ঠিক ততই ভয়াবহ পরিবেশ দূষনের আশংকা করা হচ্ছ। কারণ এখনও দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজের তেল মেঘনায় ছড়িয়ে পড়ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল হালিম জানান, পানির নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে, রিপোর্ট এলেই ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা যাবে।
গত রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর রাতে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দশ্যে যাচ্ছিল পদ্ম ওয়েল কোম্পানির সাগর নন্দিনী-২ নামের কার্গোজাহাজ। ঘন কুয়াশার কারণে সেটি ভোলার তুলাতলী পয়েন্টে অপর একটি জাহাজের সঙ্গে থাক্কা লেগে ডুবে যায়। এ ঘটনায় আলাদা ৫টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার ঘটনাটি মালিক পক্ষ ভোলা সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
এমএমজেড