ঢাকা: রাজধানীর মালিবাগ-মৌচাকে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিএনপির গণমিছিলের অংশ হিসেবে রাজধানীর মৌচাকে জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় পুলিশের ১০ জন সদস্য আহত হয়ে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আহতরা হলেন- শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান (এসি, নিউমার্কেট জোন), মো. বায়েজীদুর রহমান (এসি, রমনা জোন), এসআই শহীদুল ওসমান মাসুম (রমনা থানা), এসআই সুবীর কুমার কর্মকার (রমনা থানা), এসআই হাবিবুর রহমান (রমনা থানা), এসআই মোহাইমিনুল হাসান (রমনা থানা), এএসআই কবির হোসেন (রমনা থানা), এএসআই মো. ফিরোজ মিয়া (রমনা থানা), কনস্টেবল সৌরভ নাথ (পিওএম পূর্ব), কনস্টেবল সাদী মোহাম্মদ (পিওএম পূর্ব)।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর মৌচাকে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
এদিন দুপুর ২টার দিকে মগবাজার থেকে জামায়াতের একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি মৌচাক মোড়ে পৌঁছলে পুলিশের বাধায় তারা কিছুটা পিছু হটে। পরে তারা মালিবাগের দিকে এগিয়ে গেলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে ও টিয়ার শেল ছোড়ে।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আহত দুই জামায়াত কর্মীকে আটক করে চিকিৎসা দিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- আল আমিন (২৫) ও আব্দুর সোবহান (৬২)।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, মৌচাক-মালিবাগ এলাকায় মিছিল করার সময় তারা আহত হন। তাদের আটক করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আহত আল আমিন তেজগাঁও এলাকার ইউনিট জামায়াতের নেতা। বাসা নাবিস্কো এলাকায়। আর আব্দুর সোবহান জামায়াতের কর্মী। আল আমিন মাথায় আঘাত পেয়েছে। অপরজনের আঘাত হাতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
পিএম/এনএস