ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

থার্টি ফার্স্ট নাইট: ফানুস ওড়ালে কঠোর ব্যবস্থা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
থার্টি ফার্স্ট নাইট: ফানুস ওড়ালে কঠোর ব্যবস্থা

ঢাকা: থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে কেন্দ্র করে নানা আয়োজনে ব্যস্ত সবাই। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, সবাই একসঙ্গে আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে পুরোনোকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এই আনন্দ-উল্লাস দেশেসহ সারা বিশ্ববাসীর কাছে আনন্দময় হলেও কিছু পরিবারের কাছে তা বেদনায় রূপ নেয়, যেমনটা হয়েছিল ২০২১ সালের বিদায় বেলায়।

গত বছর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে অনেকেই ফানুস উড়িয়ে আনন্দ করেন। এতে সারাদেশে অন্তত ২০০ স্পটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে শুধু রাজধানীতেই ১০টি স্পটে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।  

যদিও গত বছরই দুর্ঘটনার আশঙ্কা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে রাজধানীতে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোঁটানোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ঢাকা মেট্রোপলটন পুলিশ (ডিএমপি)। এই নির্দেশনা না মানার কারণেই গতবছর অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটেছিল।

তবে এবছর ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানোর বিষয়ে রয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা। এরপরও যদি এর ব্যত্যয় ঘটে এবং নগরবাসীর নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটে, তবে নিরাপত্তার স্বার্থে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে এবছর বাড়ির ছাদেও কোনো অনুষ্ঠান করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর প্রতিটি থানায় এ বিষয়ে মনিটরিং করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তার প্রতিটি অলি-গলিতে থাকবে পুলিশ সদস্য। থানা পুলিশের পাশাপশি গোয়েন্দা পুলিশও নজরদারিতে থাকবে।  

সূত্রটি জানায়, রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে ফানুস, আতশবাজি বেশি পাওয়া যায়। বেশিরভাগ মানুষই সেখান থেকে কিনে নিয়ে যান। এবার চকবাজারসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বেশি থাকবে। স্থানীয় বিক্রেতাদের ফানুস ও আতশবাজি বিক্রি না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ বিক্রি করেন তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।    

এদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি না ফোটানোতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরও থার্টি ফাস্ট নাইটে উপলক্ষে রাজধানীতে যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফানুস ওড়ায় তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এদিকে গতবছরের এই ঘটনাগুলো মাথায় রেখে পুলিশের পাশিপাশি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) নিরাপত্তায় কাজ করবে। রাজধানীজুড়ে টহল, চেকপোস্টসহ সাইবার ওয়ার্ল্ডেও তাদের নজরদারি থাকবে।

এ বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছরই ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি না ফোটানোতে নিষেধাজ্ঞা থাকে। তারপরও অনেকেই লুকিয়ে লুকিয়ে এগুলো ওড়ায়। তবে ফানুস না ওড়াতে সবাইকে অনুরোধ করছি। এরপর যদি কেউ ওড়ায় তবে প্রয়োজনীয় ববস্থা নেওয়া হবে।  

এদিকে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর থার্টি ফাস্ট নাইটের প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যে সারাদেশ থেকে প্রায় ২০০টি অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া যায়। এরমধ্যে তেজগাঁও, যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল, ধানমন্ডি, রায়েরবাগসহ রাজধানীরতেই ১০টি আগুনের ঘটনা ঘটে। শুধু রাজধানীর এই স্পটহগুলোর আগুন নিয়ন্ত্রণে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করেছে। ফায়ার সার্ভিসের তদন্তে জানা যায়, এসব আগুনের কারণ ফানুস ওড়ানো। এসব আগুনে হতাহতের ঘটনা না থাকলেও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
এসজেএ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।