কক্সবাজার: করোনা মহামারির পর থার্টি ফার্স্ট নাইট বা ইংরেজি নববর্ষ বরণে এবার লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেছে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমদ্রে সৈকত। বেশির ভাগ হোটেল-মোটেলে ফাঁকা কক্ষ নেই।
হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা মহামারির আগে প্রতিবছর থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে কম হলেও লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। কিন্তু এ বছর কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন না থাকায় বিশেষ করে সৈকতে উন্মুক্ত মঞ্চে কোনো আয়োজন না থাকায় এবার উপচেপড়া ভিড় নেই।
কক্সবাজারের কলাতলীর হোটেল কক্স-ভিউ রিসোর্টের জেনারেল ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের ছুটিতে পর্যটক সমাগম বেশ ভালো ছিল। সে তুলনায় থার্টি ফাস্ট নাইটে কম।
তবে সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, কলাতলী পয়েন্টে পর্যটকের ভিড় দেখে বোঝার উপায় নেই পর্যটক সমাগম যে কম। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে এসব পয়েন্টগুলো মুখর ছিল পর্যটকে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা নিজেদের মতো করে উপভোগ করছেন সৈকতের সৌন্দর্য। বালিয়াড়িতে দৌড়ঝাপ, আনন্দ উল্লাসসহ নানাভাবে সৈকতে আনন্দে মেতেছে পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে আসা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা কল্যাণ পাল বাংলানিউজকে বলেন, সমুদ্রের প্রতি আমার টান দীর্ঘদিনের। তাই ছুটি পেলেই এখানে ছুটে আসি। এবারও বছরের শেষ দিনটি উদযাপনে এখানে ছুটে এসেছি।
গাজীপুর থেকে আসা পর্যটক ইমাম হোসেন (৪৫) বলেন, সারা বছরই ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই সুযোগ পেয়েই চলে আসলাম। ছেলে-মেয়েরা খুব আনন্দ করছে। এটাই ভালো লাগার বিষয়। আর সমুদ্র সৈকতের তুলনা তো আর কোনো কিছুর সঙ্গে হয় না। অসাধারণ একটি জায়গা।
বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্য কক্সবাজার হচ্ছে আসাধারণ একটি জায়গা। একমাত্র এখানেই আমরা একসঙ্গে সাগর ও পাহাড় দেখতে পাই। সবাইকে নিয়ে অনেক ভালো সময় কাটাচ্ছি আমরা- বলেন কুমিল্লা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক সোমা হালদার।
কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, বাস্তবতায় কক্সবাজারে কিন্তু পর্যটকদের নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা নেই। তবে বিনোদনের সুযোগ কম। আর বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে বিশেষ আয়োজন থাকলে পর্যটকরা উৎসাহিত হয়। এতে পর্যটক সমাগমও বাড়ে।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এখানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই। পর্যটকরা যেন নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সমুদ্র সৈকতে আমাদের অভিযোগ কেন্দ্র রয়েছে। কোনো পর্যটক হয়রানির শিকার হলে সহজে আমাদের অভিযোগ জানাতে পারে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈকতে দায়িত্ব পালন করছেন। নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে টুরিস্ট পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
এসবি/আরবি