ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা, সম্পাদক নবেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৩
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা, সম্পাদক নবেল হাসিনা বেগম চৌধুরী ও শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী নবেল

সিলেট: প্রথমবারের মতো নারী নেতৃত্ব পেল সিলেট জেলা প্রেসক্লাব।  

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নারী সভাপতি হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন হাসিনা বেগম চৌধুরী।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী সিলেটের প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যক্ষ লিয়াকত শাহ্ ফরিদীকে মাত্র ৩ ভোটে পরাজিত করেছেন তিনি। সিলেটের পতিতযশা সাংবাদিক প্রয়াত অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন শীরুর সহধর্মিণী হাসিনা বেগম চৌধুরী।

সাধারণ সম্পাদক পদে বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী নবেল ৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী নিউজবাংলার নিজস্ব প্রতিবেদক দেবাশীষ দেবু পেয়েছেন ৩৯ ভোট।  

সিলেট নগরীর পূর্ব জিন্দা বাজারের বারুতখানা ’সিলমার্ট কমপ্লেক্সে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর উৎসবমুখর পরিবেশে এ নির্বাচন হয়।  

নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সিলেটের সর্বস্তরের রাজনীতিবিদ, সামাজিক সংগঠনের নেতারা ও সুধী সমাজের প্রতিনিধিরা নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় সিলেট জেলা প্রেসক্লাব বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

এছাড়া সহ-সভাপতি (প্রথম) পদে মনিরুজ্জামান মনির ৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সমকালের মুকিত রহমানী পেয়েছেন ৪৯ ভোট।  

অপর প্রার্থী এস সুটন সিংহ ১০ ভোট পেয়েছেন। সহ-সভাপতি (দ্বিতীয়) পদে সাঈদ চৌধুরী টিপু ৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি সজল ঘোষ পেয়েছেন ৫৩ ভোট।

সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে রবি কিরণ সিংহ (মাইস্লাম রাজেশ) ৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি মো. আব্দুল কাইয়ুম পেয়েছেন ৫০ ভোট।  

কোষাধ্যক্ষ পদে আনন্দ সরকার পেয়েছেন ৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি সাদিকুর রহমান সাকী পেয়েছেন ৪২ ভোট।  

ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে একাত্তরের কথার মিঠু দাস জয় ৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি সমকালের ইউসুফ আলী পেয়েছেন ৩২ ভোট।  

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সুলতান সুমন পেয়েছেন ৫৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি মো. একরাম হোসেন ৫৩ ভোট পেয়েছিন। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. এনামুল কবীর পেয়েছেন ৫৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি রায়হান উদ্দিন পেয়েছেন ৪৯ ভোট।  

পাঠাগার সম্পাদক পদে মো. আবু বক্কর ৫৪ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি মো. আলী আকবর চৌধুরী কোহিনূর পেয়েছেন ৫০ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে মনিরুজ্জামান রনি পেয়েছেন ৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি মো. আব্দুল আহাদ ৫৩ ভোট।

নির্বাহী সদস্য পদে ৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন-মো. শাহীন আহমদ পেয়েছেন ৬৮ ভোট। মাহমুদ হোসেন ৬০ ভোট, রণজিৎ কুমার সিংহ ৫৬ ভোট ও মো. আনোয়ার হোসেন ৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।  

অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৩ স্বতন্ত্র দুইটি প্যানেল ও স্বতন্ত্রসহ ২৯ জন প্রার্থী অংশ নেন।  

নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ কে এম শমিউল আলম। নির্বাচন কমিশনার ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মন ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেট’র সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী।

 ভোট গণনা শেষে রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ নঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৩
এনইউ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।