ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

‌‘আমি বাঁচতে চাই, আমার জন্য কিছু একটা করুন’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
‌‘আমি বাঁচতে চাই, আমার জন্য কিছু একটা করুন’ গ্যাংরিন রোগে আক্রান্ত হয়ে এক পা ও কব্জি হারানো শাহেব মোল্যা

ফরিদপুর: প্রায় আড়াই বছর আগে গ্যাংরিন রোগে আক্রান্ত হয়ে এক পা ও এক হাতের কব্জি কেটে ফেলতে হয় শাহেব মোল্যার (৫০)। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়া এই শাহেব মোল্যা টাকার অভাবে এখন কিনতে পারছে না ওষুধও।

 

একটু বেঁচে থাকার স্বপ্নটাও আজকাল ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। ব্যথার যন্ত্রণা সইতে না পেরে তার আকুতি, ‘আমি বাঁচতে চাই বাবা, আমার জন্য কিছু একটা করুন’।

শাহেব মোল্যা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পুড়াপাড়া ইউনিয়নের দুলালী এলাকার বাসিন্দা।

জানা যায়, শাহেব মোল্যার দুটি ছেলে থাকলে তারা তার বাবার এই খরচ বহন করতে পারছে না। বড় ছেলে একটা হোটেলে সামান্য মজুরিতে কাজ করেন এবং ছোট ছেলে এবার এসএসসি পাশ করেছেন।  তাদের জীবন চলছে কখনো খেয়ে কখনো বা না খেয়ে। আর সেখানে ছেলের পড়ালেখাও অনিশ্চিত হয়ে গেছে। চিকিৎসা খরচ বহন করা যেন এখন তাদের বিলাসিতা।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শাহেব মোল্যা বলেন, ব্যাথার যন্ত্রণা আর সইতে পারছি না । প্রতিদিন ১৩০ টাকার ওষুধ লাগে, চাল কিনব নাকি ওষুধ কিনব! আমার পা ও হাতের কাটা অংশে তীব্র ব্যথা অনুভব করছি সহ্য করতে পারি না। ডাক্তার বলছে কাটা অংশে আবার অপারেশন করতে হবে তা-না হলে এটি ঠিক হবে না। কিন্তু অপারেশন করার সামর্থ্য আমার নেই।  আমি বাঁচতে চাই বাবা, আমার জন্য কিছু একটা করো, আমি আর সইতে পারছি না ব্যাথার যন্ত্রণা।  

নগরকান্দার পুড়াপাড়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান বাবু ফকির বলেন, শাহেব মোল্যাকে একাধিকবার আমি সহযোগিতা করেছি, তবে বর্তমানে তার কি অবস্থা  আমি তা বলতে পারছি না। আমি বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখব।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।