ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মায়ের জমি দেখতে খুলনার দিঘলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৩
মায়ের জমি দেখতে খুলনার দিঘলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

খুলনা: ভৈরব নদের তীরে নগরঘাট এলাকায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা ৪ বিঘা জমি দেখতে খুলনায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) পার হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছান।

 

ঘাট পার হয়ে প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গোডাউনে পৌঁছান।

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহেনাসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে নগর ঘাট এলাকায় পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী 
হিসেবে আরও রয়েছেন শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপি ও শেখ তন্ময় এমপি।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর খুলনায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সড়কের দুই পাশে দলীয় নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার সমর্থক দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত ও অভিবাদন জানান।

প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে মহাসড়কজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর দলীয় বা সরকারি কোনো অনুষ্ঠান নেই বলে নগরঘাট এলাকায় উল্লেখযোগ্য কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।  

দিঘলিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহাবুবুল আলম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়ের নামে এখানে সম্পত্তি রয়েছে। সেটাই তিনি পরিদর্শনে আসছেন। এটি তার একান্ত ব্যক্তিগত সফর।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান আমলে তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার নামে খুলনা জেলার ভৈরব নদীর পাড়ে ১ একর ৪০ শতাংশ জমি কিনেছিলেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্পত্তির মালিক হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবদ্দশায় এখানে পাটের গোডাউন ও এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘর ছিল, যা তার ছোট ভাই শেখ আবু নাসের দেখাশোনা করতেন। বর্তমানে পুরোনো গুদামঘর ভেঙে একটি আধুনিক গুদামঘর ও একটি গেস্ট হাউস নির্মাণ করা হয়েছে।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৭ সালে তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এ সম্পত্তির বিষয়ে অবগত হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২৩
এমআরএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।