পাবনা: ঈশ্বরদীতে মামুন হোসেন নামে এক রিকশাচালককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা মামলার দুই প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২ পাবনার একটি দল।
গ্রেফতাররা হলেন, ঈশ্বরদীর শলৈপাড়া ১২ কোর্য়াটার বাসিন্দা মৃত নূর উদ্দিনের ছেলে ১ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. কামালউদ্দিন (৪৮) এবং একই এলাকার জামালউদ্দিনের ছেলে এক নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হৃদয় (২৪)।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে পাবনা র্যাব-১২ এর কার্যালয়ে অভিযান ও আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মলেন হয়।
সেখানে এ তথ্য জানান র্যাব- ১২ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার ও স্কোয়াড্রন লিডার মো. তৌহদিুল মবিন খান। এসময় স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি কিশোর রায়সহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব কমান্ডার মো. তৌহদিুল মবিন খান জানান, রিকশাচালক মামুন হত্যায় নির্দেশ দেন কামাল আর গুলি চালান আনোয়ার। আসামি ওয়ার্ড যুবলীগরে সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরও দুইজন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব জানায়, ৪ জানুয়ারি রাতে ইপিজেড এলাকায় একটি ভটভটি ও লেগুনার মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এসময় উভয় গাড়ির চালক ও যাত্রীদের মধ্যে জরিমানা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। তর্কতর্কির এক পর্যায়ে ক্ষুব্দ হয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা ও গুলি করার নির্দেশ দেন পাবনার ঈশ্বরদীর ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন। তার নির্দেশে পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে মামুনকে সরাসরি গুলি চালান কামালের ভাই আনোয়ার হোসনে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রিকশাচালক মামুন হোসেন।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রকি হোসেন ও সুমন হোসেন নামের আরও দুজন আহত হন। এ সময় আনোয়ারের সঙ্গীরা সুমনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মামুন হোসেনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লখ্যে ও অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা করেন। এই মামলায় কামাল উদ্দনিকে প্রধান আসামি ও তার ভাই আনোয়ার হোসনেকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।
মো. তৌহিদুল মবিন খান বলে, গ্রেফতার কামালউদ্দিনের নামে রেলওয়ের তেল চুরিসহ একাধকি মামলা রয়েছে। গ্রেফতান হৃদয়ও একাধিক মামলার আসামি। তাদেরকে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২৩
এসএএইচ