সিরাজগঞ্জ: সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়ায় বিকেলে। কিন্তু খোলেনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ের কোনো কক্ষ।
ঘটনাটি সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে দুইটার। সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পিআইও কার্যালয়ে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারণ করেন সে সময়।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী পরিষদে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় কক্ষ চারটি। সবগুলো কক্ষই দুপুরে তালাবদ্ধ ছিল। এ সময় সংশ্লিষ্ট কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। অফিস সহকারী বা কোনো আয়াকেও চোখে পড়েনি। সেবাগ্রহীতাদের অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে ফিরে যান। যারা বসেছিলেন, আশায় ছিলেন কর্মকর্তাদের আসার।
কেন বা কী কারণে প্রকল্প কর্মকর্তাদের কক্ষগুলো বন্ধ, সে ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী পরিষদে কথা বলে জানা যায়নি। পরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সায়েদুল হককে ফোন করে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়।
বাংলানিউজকে এ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, লাঞ্চের সময়। সবাই হয়তো বাইরে লাঞ্চ করতে গেছে। এ সময় তিনি কেন বাইরে প্রশ্ন করলে উত্তর দেননি সায়েদুল হক।
সরকারি কার্যালয় পুরো বন্ধ করে সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বাইরে লাঞ্চ করতে যাওয়ার বিধান আছে কিনা জানতে চাইলেও তিনি কোনো উত্তর দিতে চাননি।
পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশুকাতে রাব্বির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়। তিনি বলেন, আমি জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ে মিটিংয়ে ছিলাম। অফিস বন্ধের বিষয়টি জানা নেই। অফিস সম্পূর্ণ বন্ধ করে লাঞ্চে যাওয়ার কোনো বিধান নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
অফিস বন্ধ করে বাইরে থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২২
এমজে