ঢাকা: ঢাকার ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একই পরিবারের দগ্ধ ৫ জনের মধ্যে মঞ্জুরুল (৩২) নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মারা গেল শিশুসহ ৪ জন।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঞ্জুরুলের মৃত্যু হয়।
মঞ্জুরুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, মঞ্জুরুলের শরীরে ৩৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হোসনার শরীরে ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থাও গুরুতর।
এর আগে, শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে ধামরাই উপজেলার কুমড়াইল কবরস্থানের সংলগ্ন দোতলা বাড়ির নিচতলায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে জোছনা বেগম (২৫), তার স্বামী গার্মেন্টসকর্মী মনজুরুল (৩২) মেয়ে মরিয়ম (১.৫), বোন হোসনা (৩০) এবং আরেক বোনের মেয়ে সাদিয়া (১৮) দগ্ধ হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে মারা যায় মঞ্জুরুলের মেয়ে শিশু মরিয়ম। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ভোরে মারা যান স্ত্রী জোছনা বেগম ও দুপুরে ভাগনি সাদিয়া।
তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মো. নিজাম শেখ জানান, ভোরে তারা যখন ঘুমিয়েছিলেন তখন বিকট শব্দ শুনতে পান। এরপর ভবনের নিচতলা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে নিচতলায় গিয়ে দেখেন, বাসাটির ভেতর পাঁচজন দগ্ধ অবস্থায় কাতরাচ্ছে। আর আগুনে বিছানার কিছুটা পুড়ে গেছে। তখন তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
দগ্ধ স্বজনদের ধারণা, ভোরে রান্নার জন্য উঠে আগুন জ্বালানোর পর পর চুলার লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরিত হয়ে তারা দগ্ধ হয়েছে। মৃত মঞ্জুরুলের গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের মাগুরা মাস্টারপাড়ায়। ধামরাইয়ে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
এজেডএস/এএটি