ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করার মতো শক্তি দেশে তৈরি হয়নি। তাই ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়নি। আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে এদেশের মাটি ও মানুষের কাছ থেকে। কাজেই আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক দূর পর্যন্ত আছে। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়াসহ অনেকেই চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে, কিন্তু পারেননি। পারবেও না ইনশাল্লাহ। আওয়ামী লীগ টিকে আছে-থাকবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা যে কাজগুলো করেছি তার সুফল তো মানুষ ভোগ করছে। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও ভোগ করছে। আমার একটা মামলাও কিন্তু আমি প্রত্যাহার করতে দেইনি। আমি বলেছি, প্রত্যেকটা মামলার তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়ে তার পর মামলায় যদি আমি অপরাধী হই, আমার বিচার করতে হবে। মামলা আমি সহজে প্রত্যাহার করতে দেবো না। সেভাবেই কিন্তু মামলাগুলো নিষ্পত্তি হয়েছে। আমরা জানি, অনেক মামলা হয়েছে যারা সত্যিকার দুর্নীতি করেছে তারা ধরা খেয়েছে। এটা হলো বাস্তবতা। তারপরও তো আমাদের কম ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করতে হয়নি। ২০১৩, ১৪, ১৫ অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষকে পুড়িয়ে মারা, খুন করা সাধারণ মানুষের সম্পত্তি নষ্ট করা এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা করে সরকার হটানোর চেষ্টা করা হয়নি। আন্দোলনের নামে এগুলো করেছে কিন্তু জনগণের সাড়া পায়নি। কাজেই আমি সংসদ সদস্যকে এটুকুই জানাতে চাই, আমরা সরকারে যখন আছি জনগণের জানমালের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এমন কোনো শক্তি এখনও তৈরি হয়নি বাংলাদেশে যে আওয়ামী লীগ সরকারকে তারা উৎখাত করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন তো নির্বাচন তেমন নেই। এই তো কয়েকদিন আগে নির্বাচন হয়ে গেল। তার পরেও প্রশ্ন তোলে কারা যারা নির্বাচনকে কলুষিত করেছে, যারা নির্বাচনের সব ধরনের প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছে, ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল, তারাই আবার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাদের প্রশ্ন তোলার কি অধিকার আছে? এদেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে প্রথমে হাঁ-না ভোট, তার পরে রাষ্ট্রপতির নির্বাচন। আমরা বলতে পারি, একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার আছে বলে জনগণ স্বতস্ফুর্তভাবে ভোট দিতে পারছে। এ কারণে তারা জানে আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা দেয় তা রাখে, তারা যে কথা দেয় তা পালন করে। আমরা কথা দিয়ে কথা রাখি। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। যতটুকু করতে পারবো ততটুকু করেছি। তাই আমি সংসদ সদস্যকে বলতে চাই, ঘাবড়ানোর কিছু নেই, ঘাবড়াবেন না, আমরা আছি না।
বাংলাদেশ সময় ২০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
এসকে/জেএইচ