ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেখ রাসেলের খুনীদের আশ্রয় না দেওয়ার আহ্বান নোবেলজয়ীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
শেখ রাসেলের খুনীদের আশ্রয় না দেওয়ার আহ্বান নোবেলজয়ীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যাদুঘরের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন নোবেলজয়ী সত্যার্থী

ঢাকা: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ স্বপরিবারে হত্যার শিকার হন সশস্ত্রবাহিনীর একদল বিপদগামী সদস্যের হাতে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ও মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি এখনও বিভিন্ন দেশে রয়েছে।

তারা হলেন- আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী।

এর মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের বারবার দাবির পরও তাদের ফেরত পাঠানো হয়নি।

এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে নোবেলজয়ী ও শিশু অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থী বলেছেন, বিশ্ববাসীর উচিত শিশু হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেওয়া।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা সফররত নোবেল জয়ী কৈলাস সত্যার্থী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশের সময় এই আহ্বান জানান।  এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যাদুঘরের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি।

৩১তম বিসিএস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন তিনি। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমিতে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। পরে অনুষ্ঠিত হবে বাউল গান। তার আগে বাংলা একাডেমি চত্বরে শিশুদের জন্য থাকবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।

আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে এবারের বর্ষপূর্তির আলোচনার প্রতিপাদ্য ‘Will for Children’। যেখান থেকে থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিশুপুত্র শেখ রাসেলের হত্যাকারীদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর ও শিশুদের ওপর নিপীড়ন বন্ধেরও দাবি জানানো হবে।

নোবেলজয়ী সত্যার্থী জানান, ১৫ আগস্টের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার বিশ্ববাসীকে নিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল জয় করেন কৈলাস সত্যার্থী। ১৯৫৪ সালের ১১ জানুয়ারি ভারতের মধ্যপ্রদেশে জন্ম নেন তিনি। ১৯৮০ এর দশকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছেড়ে পুরোদমে শিশু অধিকারের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন কৈলাস। গড়ে তোলেন ‘বাচপান বাঁচাও’ আন্দোলন। যে সংগঠনটি সারা ভারতে এ পর্যন্ত ৮০ হাজারেরও বেশি শিশুকে শ্রমের দাসত্ব থেকে মুক্ত করেছে। এসব শিশুর পুনর্বাসন আর শিক্ষাও নিশ্চিত করেছে ‘বাচপান বাঁচাও’।

দুই দশক ধরে শিশুদের জন্য কাজ করা মানুষটি নোবেল পুরস্কারও উৎসর্গ করেছিলেন শিশুদের জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, ১৩ জানুয়ারি, ২০২২
এনবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।