ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ফরিদপুরে চালককে বিস্কুট খাইয়ে ইজিবাইক ছিনতাই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
ফরিদপুরে চালককে বিস্কুট খাইয়ে ইজিবাইক ছিনতাই

ফরিদপুর: ফরিদপুরে আয়ূব ফকির (২৬) নামে এক ইজিবাইক চালককে বিস্কুটের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তির পর তার সঙ্গে অমানবিক আচরণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী আয়ূব ফকির জেলার সালথা উপজেলার সোনাপুর গ্রামের কানচু ফকিরের ছেলে। বর্তমানে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বলেন, ‘রোববার দুপুরের দিকে সালথা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বাইপাস সড়কের মোড় থেকে ৪শ টাকায় রিজার্ভ ভাড়া নেয় ৬ যাত্রী। তারা বোয়ালমারী হাসপাতালে যাবে বলে জানায়। তাদের মধ্যে তিনজন নারী ও তিনজন পুরুষ ছিলেন। এরপর বোয়ালমারী হাসপাতালের পাশে গিয়ে তারা নামেন এবং তাকে অপেক্ষা করতে বলেন । প্রায় ২ ঘণ্টা পর তারা এসে সাতৈর বাজারের দিকে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে তারা বিস্কুট খায় এবং আমাকেও  খেতে দেয়। আমি বিস্কুট খেলে অসুস্থ হয়ে যাই। তখন সন্দেহ হলে পথে কাউকে না পাওয়ায় গাড়ি দাঁড় করাতে পারিনি। তারপর আর কিছু মনে নেই।

ভুক্তভোগীর ভাই সায়েম ফকিরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালাতো আয়ূব। রোববার (১৫ জানুয়ারি) রাতে সালথা থানা পুলিশ এলাকার চৌকিদারের মাধ্যমে জানায়, তার ভাইকে অজ্ঞান অবস্থায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কোতয়ালি থানার এসআই আলমগীর শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে তাকে উদ্ধার করেছে। তবে, তার ইজিবাইকটি ছিনতাইকারীরা নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘ধার দেনা হয়ে দেড় লক্ষাধিক টাকা দিয়ে ভাইকে গাড়িটি কিনে দেয়া হয়েছিল। গাড়ি চালিয়েই কিস্তির টাকা পরিশোধ এবং সংসার চালানো হতো। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে গাড়িটি ফিরে পাওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সুস্থ হলে আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করব।

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ের ট্রাফিক পুলিশের কাছে অজ্ঞান অবস্থায় এক যুবক রয়েছে- এমন খবরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। তবে, কে বা কারা তাকে রেখে গেছে বলতে পারি না।

এদিকে হাসপাতালে অন্যান্য রোগী ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আয়ূবকে ভর্তি করা হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে। কিন্তু রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তাকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। পরে তার এক স্বজন আসলে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করে।

এ বিষয়ে সেখানে কর্তব্যরত নার্সরা জানান, হাসপাতালে স্যালাইন সেট না থাকায় তাকে দিতে পারিনি। স্যালাইন সেট হাসপাতালে নেই, বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।