'আমার তো স্বামী নেই। খুব কষ্ট করি চারটা বাচ্চা বড় করিছু (করেছি)।
কম্বল পেয়ে নিজের অনুভূতির কথা জানতে চাইলে এভাবেই মনের অনুভূতিগুলো ব্যক্ত করেন ঝুমরী হাসদা।
ঝুমরী বীরগঞ্জ পৌর এলাকার মাকড়ায় এলাকার বাসিন্দা। প্রায় ১০ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন তিনি। চার সন্তানের মধ্যে বড় দুই মেয়ে। তারপর ছোট দুই ছেলে। বড় ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় উপার্জন করার মতো কেউ না থাকায় বয়সের ভারে নুইয়ে পড়ার পরেও চালিয়ে যাচ্ছেন জীবন সংগ্রাম। আর সেই সংগ্রামে সহযোগিতা করেন তার বড় মেয়ে। উপার্জনক্ষম একমাত্র সম্বল বড় মেয়ে হওয়ায় বিয়ে দিতেও দ্বিধা ঝুমরী হাসদার। কম্বল পেয়ে তবুও খুশি যে তাকে আর কম্বল কিনতে হবে না।
দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় ও বীরগঞ্জ উপজেলা শুভসংঘের আয়োজনে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বীরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে ২০০ জনের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম মাসুদুল হক, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কর্ম ও পরিকল্পনা সম্পাদক মো. আবীর খান, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি এমদাদুল হক মিলন, শুভ সংঘের জেলা সভাপতি রাসেল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন পারভেজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আকবর সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, দপ্তর সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত রাফি, ইভেন্ট সম্পাদক আপন মাহমুদ, বীরগঞ্জ উপজেলা শাখার উপদেষ্টা সোহেল আহমেদ, সভাপতি ফরহাদ হোসেন সাধারণ সম্পাদক রাকেশ রায়, যুগ্ম সম্পাদক তানভীর হোসেন, প্রদীপ রায়, মোজ্জামেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ ধনদেব রায়, প্রচার সম্পাদক স্বজন রায়, সদস্য জাহিদ, মাসুদ, জাহিদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
এসআরএস