ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেননি ডোনাল্ড লু: আইনমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেননি ডোনাল্ড লু: আইনমন্ত্রী

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু মানবাধিকারের দিক থেকে বাংলাদেশে যথেষ্ট উন্নতি হওয়ার কথা স্বীকার করে গেছেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা মো. হাশিমের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

 

প্রসঙ্গত, গত ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফর করে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এ সময় তিনি কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন কোন দিকে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার সঙ্গে ডোনাল্ড লুর কথা হয়েছে। সেখানে মানবাধিকার প্রসঙ্গও ছিল। আমাকে তিনি বলেছেন যে মানবাধিকারের দিক থেকে বাংলাদেশে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কখনো কারও সম্পর্কে ভালো লেখে না। কিন্তু বাংলাদেশের মানবাধিকারের উন্নতি হয়েছে বলে তারা নিজেদের প্রতিবেদনে লিখেছে।  

র‌্যাবের বিরুদ্ধে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা কবে তোলা হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলিনি। তার কারণ হচ্ছে, র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা তোলার ক্ষেত্রে একটি আইনি পদ্ধতি রয়েছে। আমরা সেই পদ্ধতি অনুসারে এগোচ্ছি। সেই অনুসারে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। তবে লু বলেছেন, আমরা র‌্যাবের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা হয়তো দিতাম। কিন্তু আমরা দেখেছি, র‌্যাব অনেক ভালো কাজ করেছে। আমরা বুঝি র‌্যাবেরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই যে মানবাধিকারের বিশাল উন্নতি এই কারণে বাংলাদেশকে আর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তিনি এ কথা আমাকে পরিষ্কার করে বলেছেন।

র‌্যাব সংস্কারের বিষয়ে সুপারিশ করেছেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দেখুন, সংস্কারের সুপারিশ আসুক আর না আসুক। র‌্যাবের কোনো সদস্য অন্যায়, অপরাধ বা ভুল করলে, তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।  

তিনি বলেন, ডোনাল্ড লুর সঙ্গে সবশেষ কথায় আমার একটি দাবির কথা বলেছি, সেটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিতে হবে। তখন তিনি আমাকে বলেছেন, পররাষ্ট্র দফতর এ বিষয়ে সম্পূর্ণ সহানুভূতিশীল। তারাও চায় তাকে ফেরত দিতে। কিন্তু ব্যাপারটি বিচার বিভাগের সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে ডোনাল্ড লু আমাকে বিচার বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত আনতে যতগুলো দরজায় নক করা দরকার, সেটি আমি করবো।

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন কেমন হতে হবে, তা নিয়ে কোনো কথা বলেননি ডোনাল্ড লু। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উত্তরণ কেন চায়, সেটি তিনি আমাকে বলেছেন। গণতন্ত্র উত্তরণের যে পদ্ধতি, তা বাংলাদেশে ভালোভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
জিসিজি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।