ঢাকা: গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। জ্বালানি বিভাগের ব্যাখ্যা অনুযায়ী মূলত ভর্তুকি সমন্বয় ও নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতেই দাম বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) গ্যাসের দাম বাড়ার পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক ব্যাখ্যায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এসব কথা বলেছে।
এতে বলা হয়, খোলাবাজার থেকে চড়া দামে এলএনজি কিনে গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য বিদ্যুৎ, শিল্প, ক্যাপটিভ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়, চলমান কৃষিসেচ মৌসুম, আসন্ন রমজান মাস ও গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের বাড়তি চাহিদা মেটানো, শিল্প খাতে উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য করণীয় নিয়ে অংশীজনের মতামত নেওয়া হয়েছে।
জ্বালানি বিভাগের ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্যে অস্থিতিশীল। এ ছাড়া জ্বালানি খাতে বিমা খরচ, ঝুঁকি ব্যয়, ব্যাংক সুদ, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকা দুর্বল হওয়ায় সামগ্রিকভাবে জ্বালানি খাতে ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
এ কারণে গত জুলাই থেকে খোলাবাজারের এলএনজি আমদানি বন্ধ রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পসহ সব খাতে গ্যাস রেশনিং করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এমকে/এমএইচএস