ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অ্যাপ্রোন গায়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলছিল ইন্টার্ন চিকিৎসক 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
অ্যাপ্রোন গায়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলছিল ইন্টার্ন চিকিৎসক 

কুমিল্লা: কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের (কুমেক) হোস্টেলে অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা।

 

ওই শিক্ষার্থীর নাম মিনহাজুল করিম ভূঁইয়া (২৮)। তার বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। তিনি কলেজের ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, দিনে ইন্টার্ন শেষ করে হোস্টেল ক্যান্টিনে লাঞ্চ করেন মিনহাজ। এসময় তার পরনে অ্যাপ্রোন ছিল। বুধবার রাতে সার্জারি-১ বিভাগে তার নাইট ডিউটি ছিল। কিন্তু যথাসময়ে তিনি হাসপাতালে না এলে একাধিকবার তাকে কল করা হয়। কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেন  না। একপর্যায়ে রাত ৯টা পার হয়ে গেলেও তিনি হাসপাতালে না আসায় ২৫ ব্যাচের মোদাচ্ছের নামে এক ইন্টার্নিকে তার হোস্টেলে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে তার কক্ষের দরজা বন্ধ দেখতে পান মোদাচ্ছির। দরজা ধাক্কা দিলেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না। এসময় তিনি পাশের কক্ষের শিক্ষার্থীদের ডেকে আনেন। তারা জানালা দিয়ে দেখেন, অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মিনহাজ ঝুলে আছেন। দ্রুত দরজা ভেঙে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু এর অনেক আগেই তিনি মারা যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের এক প্রভাষক জানান, ছাত্র জীবনে একাধিক বার ফেল করায় তার মধ্যে মানসিক বিষণ্নতা ছিল। আত্মহত্যার পেছনে পুরোনো বিষণ্নতার পাশাপাশি পারিবারিক কোনো কারণও থাকতে পারে।
 
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, যে কক্ষে মিনহাজের মরদেহ পাওয়া যায়, সেখানে তিনি একাই থাকতেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি নোট উদ্ধার করা হয়। সেখানে লেখা ছিল, 'আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। ' তার মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।