নাটোর: নাটোরের লালপুরের একটি স্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ মামলায় মো. রনি আহম্মদ (৩৩) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।
রায়ের সময় আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রনি আহম্মদ লালপুর উপজেলার কুঁজিপুকুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। মামলার সময় তার বয়স ছিল ২০ বছর। স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ১৩ বছর পর আদালত এই দণ্ডাদেশ দেন।
নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (বিশেষ পিপি) অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে লালপুর উপজেলার কুজিপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় রাতেই ওই ছাত্রীর ভাই বাদি হয়ে ছাত্রীর বান্ধবী ও তার ভাই রনি আহম্মদসহ চারজনকে আসামি করে লালপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দুইদিন পর অপহৃত ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই ছাত্রী আদালতে জবানবন্দি দেয় যে, তাকে দেশের সীমান্ত এলাকায় একটি স্থানে আটকে রাখা হয়েছিল।
ঘটনা তদন্ত করে লালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জামাত আলী একই বছরের ৫ এপ্রিল কেবল রনি আহম্মদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসে। মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলে আদালতে ৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। এরমধ্যে আসামি রনি আহম্মদ ওই মামলায় জামিন নিয়ে বের হয়ে পলাতক থাকেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ওই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে অপহরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এ সময় বিচারক আসামির অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। একই সঙ্গে দণ্ডের অর্থ আদায় করে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত আসামি পলাতক থাকায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে আসামি গ্রেফতারের পর থেকে তার সাজা কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
এনএস