বগুড়া: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সালিশের চাচার মারধরে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাতিজা রায়হান (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত চাচা শহিদুল ইসলামকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে শহিদুলকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহত রায়হান ধুনটের হেউটনগর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। গ্রেফতার শহিদুল ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিশুদের মধ্যে মারধরের ঘটনা নিয়ে নিহত রায়হানের বাবা ও মাকে মারধর করেন শহিদুলের ছেলে ও ছেলের স্ত্রী। এ ঘটনায় গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে প্রতিবেশীর বাড়িতে উভয়পক্ষ সালিশে বসে। ওই বৈঠকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রায়হানকে তার চাচা শহিদুল ও তার ছেলে রাশেদসহ পাঁচজন মারধর করে আহত করেন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে ১৮ জানুয়ারি তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৬টায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সালমা আক্তার সামু বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই ধুনট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিহতের চাচা শহিদুলসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে বগুড়ার শেরপুর শহর এলাকা থেকে শহিদুলকে গ্রেফতার করে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
কেইউএ/এসআরএস