ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

স্বর্ণ পদক দেওয়ার মধ্যে দিয়ে শেষ হলো সুলতান মেলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
স্বর্ণ পদক দেওয়ার মধ্যে দিয়ে শেষ হলো সুলতান মেলা

নড়াইল: ‘সুলতান স্বর্ণ পদক’ প্রদানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ১৪ দিনব্যাপী সুলতান মেলার। এবার পদক পেয়েছেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী শহিদ কবীর তালুকদার।


 
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শিল্পীর হাতে এ পদক তুলে দেন জেলা প্রশাসক ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও অতিথিরা।
 
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য(এমপি)।
 
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-চিত্রশিল্পী শহীদ কবীর তালুকদার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক মাহবুবা করিম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দোলন মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবীর টুকু, সাংবাদিক খাইরুল আরেফিন রানা, নাট্যব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার, মিলন ভট্টাচার্যসহ অনেকে।
 
চিত্রশিল্পী শহিদ কবীর তালুকদার পদকপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় বাংলানিউজকে বলেন, সুলতানের জন্মভূমি নড়াইলের মাটিতে এসে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আজ আমি কোঠি সুলতানের হাত থেকে এ পদক গ্রহণ করলাম। আমি শিল্পী নই, একজন রংতুলি শ্রমিক। এতবড় সম্মান পেয়ে এখন থেকে আমার দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল।
 
নাট্যব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, সুলতান শুধু চিত্রশিল্পীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন গ্রাম-বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারকবাহক। সুলতান মেলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশবাসীকে একটা বার্তা দিতে চাই, শুধু মেলায় আসা-যাওয়া নয়, সুলতানকে হৃদয়ে ধারন করতে হবে।
 
গত ৭ জানুয়ারি বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৮তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সুলতান মেলার উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ।
 
জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মেলায় দেশি-বিদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে চিত্রপ্রদর্শনী, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, লাঠিখেলা, হাঁড়িভাঙ্গা, কলাগাছে ওঠা, ঘোড়ার গাড়ির দৌড়, ষাঁড়ের লড়াইসহ বিভিন্ন গ্রামীণ খেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়া আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। মেলায় বিভিন্ন রকম জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছিলো ৯২টি স্টল।
 
উল্লেখ্যে, সুলতান পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী শহিদ কবীর তালুকদার ১৯৬৯ সালে তৎকালীন ঢাকা গর্ভমেন্ট কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফট্স থেকে বিএফএ সম্পন্ন করেন। একই প্রতিষ্ঠানে ১৯৭৩ সালে শিক্ষকতা শুরু করে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ফ্রিল্যান্স শিল্পী হিসেবে কাজ করছেন। এ পর্যন্ত তিনি দেশ-বিদেশে ১৩টি একক চিত্রপ্রদর্শনী ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যৌথ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি দেশ-বিদেশে সাতটি পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।