ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেহেরপুরে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
মেহেরপুরে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার আব্দুল গাফ্ফার

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনীর আমতৈল গ্রামের জগত আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল গাফ্ফারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গাংনী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক শুক্রবার রাতে (২০ জানুয়ারি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ পার্শ্ববর্তী মানিকদিয়ে গ্রামে তার খালু শ্বশুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আব্দুল গাফ্ফারকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতার আব্দুল গাফ্ফার আমতৈল গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি হত্যার শিকার জগত আলীর বড় ভাইয়ের ছেলে (ভাতিজা)।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আব্দুল গাফ্ফারকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে জগত হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। এর আগে এ মামলার এজাহার নামীয় ৩ নম্বর আসামি ফেরেজুল ইসলামকে গত বছরের ৩ নভেম্বর গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত বছরের ৩০ নভেম্বর সকালে স্থানীয় মাঠ থেকে জগত আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে তিনি মাঠে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন।  

এ ঘটনায় জগত আলীর স্ত্রী হালিমা খাতুন বাদী হয়ে এজাহার নামীয় তিনজন  ও দুই-তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এসআই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জগত হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল গাফ্ফার হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। সেই নিজেই এ হত্যার সঙ্গে জড়িত। শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার বাদী স্ত্রী হালিমা খাতুন বলেন, পৈতৃক জমির মালিকানা নিয়ে ভাতিজা আব্দুল গাফ্ফারের সঙ্গে বিবাদ চলছিল। সেই জমিতে আমার ভাসুরের ছেলে আব্দুল গাফ্ফার জোর ভুট্টা রোপণ করে। আমার স্বামী ভুট্টাক্ষেতের ওপর চাষ দিয়ে দেন। জমির ওপর গেলে তাকে হত্যা করার হুমকি দেন আব্দুল গাফ্ফার। জমির ওপর চাষ করার সময় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে পালিয়ে যান তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
জেএইচ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।