ঢাকা: রাজধানীর টঙ্গীতে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের শেষ দিন ছিল আজ। আখেরি মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা বেরিয়েছেন প্রায় একই সময়ে।
রোববার (২২ জানুয়ারি ) সন্ধ্যা হতেই বিমানবন্দর এলাকা সংশ্লিষ্ট সড়কে তীব্র যানজট দেখা গেছে। অন্তত ৭/৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনগুলো স্থবির হয়ে আছে। এ অবস্থায় বিরক্ত হয়ে বহু যাত্রীকে হেঁটে নিজ গন্তব্যের দিতে যেতে দেখা গেছে।
বিমানবন্দর এলাকায় জ্যামে সড়কে থেকে আছে নানা কোম্পানির বাস। তার মধ্যে বলাকা পরিবহনের একটি বাসের চালক আকবর হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, আজ তার চালিত বাসটি ‘রিজার্ভ’ ছিল। ইজতেমা উপলক্ষে যাত্রী পরিবহন করছেন তিনি। সকালে ঠিকঠাক গন্তব্যের পৌঁছলেও বিকেল থেকে অবস্থার পরিবর্তন হয়। সন্ধ্যার পর থেকে জ্যাম ঠেলে পরবর্তী গন্তব্যের পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তিনি।
একই তথ্য দেন আজমেরি গ্লোরিসহ অন্যান্য বাসের চালক হেলপাররা। তারা জানান, যানজটের জন্য টঙ্গী থেকে বনানী এমইএস পর্যন্ত আসতে তাদের সময় লাগছে দুই-আড়াই ঘণ্টার বেশি।
যানজট ও প্রয়োজনীয় সময়ে গন্তব্যের পৌঁছতে যাত্রীদের বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক যাত্রী জানান, একেকজনের কাছ থেকে একেক রকম ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। যে বাসগুলো রিজার্ভ সেগুলো ছাড়া অন্যান্যগুলোয় বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। আশপাশের এলাকা হলে ৫০/৬০ টাকা, আবার দূরের গন্তব্য হলে ১০০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
কুড়িল, নতুন বাজার, বাড্ডা, রামপুরা যেতে চাইলে ভাড়া ১০০ টাকা গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। রাইদা পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি বাসে এ নৈরাজ্য চলছে। জোর করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন ইজতেমা ফেরত যাত্রীরা। কিন্তু অসহায় হয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা বাসে উঠছেন।
তুরাগ বাসের গেট লাগিয়ে ‘যেখানে যাবেন ১০০ টাকা ভাড়া’ বলে যাত্রী ডাকতে দেখা গেছে। যাত্রীরা বলছেন, সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে বাস চালক-হেলপাররা। এসব অযৌক্তি হয়রানী।
যানজটের বিষয়ে বনানী এলাকায় কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এটা নিয়মিত যানজটের অংশ। আমরা কাজ করছি। আশা করছি দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
অতিরিক্ত ভাড়ার ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি তিনি। এ ছাড়া ব্যস্ত থানায় অন্যান্য ট্রাফিক সদস্যদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলাও সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৩
এমকে/এমজে