ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আলোর পথের যাত্রী ছিলেন আলতাফ মাহমুদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
আলোর পথের যাত্রী ছিলেন আলতাফ মাহমুদ ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: আলতাফ মাহমুদ ছিলেন আলোর পথের যাত্রী। সাংবাদিকতার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে হলে আলতাফ মাহমুদকে ধারণ করতে হবে।

সেদিক থেকে যারা তাকে স্মরণ করে ধারণ করবেন তারাও এগিয়ে যাবেন বহুদূর।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সেভ দ্য জার্নালিস্টস ও জার্নালিস্টস ভয়েস অব বাংলাদেশ আয়োজিত আলতাফ মাহমুদের স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোল্লা জালাল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত আলম খান তপু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালীন নোমানী, সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, বাংলা টিভির হেড অব নিউজ জাকারিয়া কাজল প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক।

মোল্লা জালাল বলেন, শত সমস্যার মধ্যেও আলতাফ মাহমুদ ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল মানুষ। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ফোরামের প্রাণ। একটি চেতনার নাম। তাকে ব্যবহার করে একদিকে অনেকে সুবিধা নিয়েছে, আরেকপক্ষ হয়েছে ত্যাগী।

আবু জাফর সূর্য বলেন, সাংবাদিকতার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে হলে আলতাফ মাহমুদকে ধারণ করতে হবে।

আকতার হোসেন বলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের অধিকার আদায়ে কাজ করতেন আলতাফ মাহমুদ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশার এক বড় ক্ষমতা ছিল তার। সাধারণ জীবন-যাপন করতেন। ক্ষমতার কাছাকাছি থেকেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। হেঁটেই চলাচল করতেন, মন্ত্রীরা পর্যন্ত গাড়ি থামিয়ে নিতে চাইলেও উঠতেন না।

সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, আলতাফ মাহমুদকে স্মরণ করতে হলে জ্ঞান নির্ভর সাংবাদিকতার মাধ্যমে স্মরণ করতে হবে।

ডিইউজের কোষাধাক্ষ্য খাইরুজ্জামান খান কামাল বলেন, ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক ফোরামের আন্দোলন সংগ্রামে তার সঙ্গে পরিচয়। সাংবাদিক হিসেবেও তিনি ছিলেন ভালো সাংবাদিক। সাংবাদিকরা আগেও বেতন পায়নি, এখনও পায় না। কিন্তু মর্যাদা সম্মানের জায়গায় শিক্ষায়-দীক্ষায় ছিলেন উচ্চমার্গে। তাদের যে যোগ্যতা ছিল সেটা আর আজকে দেখি না। সাংবাদিকদের যোগ্যতার দিকে তাকালে আলতাফ মাহমুদকে স্মরণ করতে হবে। আলতাফ মাহমুদ করতেন ট্রেড ইউনিয়ন। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সব সময় সোচ্চার ছিলেন। সাংবাদিকদের অধিকার ছেড়ে কোথায় যায়নি।

সাংবাদিক জাকারিয়া কাজল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে আরেকটা চেতনা আছে সেটি সততার চেতনা। এ দুইয়ের মিলে ছিলেন আলতাফ মাহমুদ। সততার চেতনা এখন অনেকের মধ্যেই নেই। ট্রেড ইউনিয়ন বলতে যা বোঝায় তা ছিলেন আলতাফ মাহমুদ। আজকে মালিকরাও ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য। আলতাফ মাহমুদ থাকলে এটার সুযোগ থাকত না।

মুরসালীন নোমানী বলেন, আলতাফ মাহমুদ তার কাজের মধ্য দিয়ে সবার শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে আছেন। নিজের অবস্থানে থেকে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সরকারি কোনো সুযোগ গ্রহণ করেননি। বাসেই সাধারণের মতো চলাচল করতেন। সাংবাদিক নেতা হিসেবে সব সময় সাংবাদিক সমাজের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।  
নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় শুরুর দিকে তার সহচর্য পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন শিক্ষানবীশকে সাংবাদিক হিসেবে গড়ে তুলতে যা দরকার তিনি তা করতেন।

স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে কাজী রফিক বলেন, আলতাফ মাহমুদের ইউনিয়নের চরিত্র, যে ধারা তা এখন আর নেই। প্রথম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে আলতাফ মাহমুদের ভূমিকা ছিল সর্বাগ্রে। আলতাফ মাহমুদের নেতৃত্বের যে ছাপ তিনি কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলতেন না। কাউকে তোষামোদ করে কথা বলতেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।