ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সংসদে পীর ফজলু

রোহিঙ্গা মাদকসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি অশান্ত হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
রোহিঙ্গা মাদকসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি অশান্ত হবে সংসদে বক্তব্য রাখছেন পীর ফজলুর রহমান -ফাইল ছবি

ঢাকা: কক্সবাজারে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে কক্সবাজার এলাকা অশান্ত হয়ে উঠবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাপা দলীয় এই এমপি এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

পীর ফজলুর রহমান বলেন, মাদক কারবারিরা আত্মসমর্পনের পরে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মাদকের প্রবেশ তিন গুণ বেড়েছে। এই যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে যারা আশ্রয় নিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যাদের মানবিকতা দেখিয়ে আশ্রয় দিয়েছিলেন তারা যে ৩৪টি ক্যাম্পে থাকে তার মধ্যে ১৯টিতে আমাদের এবিবিএন ফাঁড়ি আছে, বাকিগুলোতে কোনো পুলিশ ফাঁড়ি নেই। এই রোহিঙ্গারা অনেক জায়গায় কাঁটা তারের বেড়া কেটে এখন থেকে বের হন এবং তার চাইতেও ভয়াবহ হচ্ছে আমাদের তমরু সীমান্ত এলাকার কোনাপাড়ায় একটা জায়গা আছে, সেটা নো ম্যানস ল্যান্ডের মধ্যে পড়েছে। সেখানে কয়েক শ’ ঘরবাড়ি স্থাপন করে রোহিঙ্গাদের মধ্যে কয়েকটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ থাকে এবং তারা মাদক কারবারে  জড়িত। তারা ওই স্থান দিয়ে মাদক নিয়ে আসে এবং নো ম্যানস ল্যান্ডের মধ্যে হওয়ায় কোনাপাড়ায় আমাদের কোনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাতে পারে না। তারা ওই এলাকা থেকেই মাদকটা নিয়ে আসে। এরা কোনাপাড়ায় আশ্রয় নিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদক আনছে।

তিনি বলেন, এদের কারণে সন্ত্রাসী ঘটনা বাড়ছে, ১৩৩টির বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। কিন্তু যেসব রোহিঙ্গারা এই মাদক নিয়ে আসছে, তাদের নিশ্চয়ই আমাদের এই টেকনাফ বা এই অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে এই ব্যবসা কখনই করা সম্ভব না। এই মাদকের মধ্যে ভয়াবহ মাদক ইয়াবা তো আছেই, নতুন করে আইচও আসছে।

এ কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো পরিবারের একটা সন্তানও যদি কোনো কারণে মাদকাসক্ত হয়ে যায় সেই পরিবারে সারা জীবনের হাসি মিলিয়ে যায়।   এখন নতুন করে তালিকা করা দরকার টেকনাফ-কক্সবাজার এলাকায় আমাদের কারা এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। নতুন করে তালিকা করে যদি এদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে না যাওয়া যায় তাহলে আমাদের তরুণ সমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এই যে কোনাপড়ায় নো-ম্যানস ল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া যায় তাহলে এদের দ্বারা এই এলাকা আশান্ত হবে।    

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এসকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।