ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: রাশিয়ার ওপর স্যাংশনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, যুদ্ধে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করেই স্যাংশন দেওয়া হয়, যারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনকে লঙ্ঘন করে, স্যাংশনের মাধ্যমে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ‘ইউরোপীয়ান ইন্টিগ্রেশন অ্যান্ড দ্য ব্রেক্সিট’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন ড. তাসনিম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ। এ সময় বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেন শিক্ষার্থীরা।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস-স্টিল আমদানিতেও স্যাংশন দেওয়া হয়েছে। কারণ, আমরা রাশিয়া থেকে এগুলো নিতে চাই না। ওরাতো অত্যাচারী। খাদ্যসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসে তো স্যাংশন দেওয়া হয়নি। অত্যাচারী রাশিয়া একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র ইউক্রেনের ওপর হামলা চালিয়েছে।
বাংলাদেশের শরণার্থী সমস্যাকে বর্তমানে ইউরোপে শরণার্থী সমস্যার সঙ্গে তুলনা করে রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আমরা মিয়ানমারের ওপর প্রভাব খাটাতে চাচ্ছি। তাদের ওপর স্যাংশন দিয়েছি, অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি, উন্নয়ন সহযোগিতা বাতিল করে দিয়েছি। ইউরোপে আমরা নিজেরাও শরণার্থী সংকটে রয়েছি।
সার্বভৌম রাষ্ট্রের যেকোনো জোটে কিংবা সংস্থার সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, অনেকে আমাকে বলে, তোমরা এটাতে প্ররোচনা দিয়েছো কারণ ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হতে চায়, ইউক্রেন ইইউ'র সদস্য হতে চায়। কিন্তু, কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্র কোনো আঞ্চলিক সংস্থায় যোগ দেওয়াটা কীভাবে প্ররোচনা হয়?
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
এসকেবি/আরআইএস