ঢাকা, রবিবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ জুন ২০২৪, ১৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

দুর্ঘটনা রোধে সড়ক পরিবহন আইন যথেষ্ট নয়: ইলিয়াস কাঞ্চন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
দুর্ঘটনা রোধে সড়ক পরিবহন আইন যথেষ্ট নয়: ইলিয়াস কাঞ্চন

ঢাকা: ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, দুর্ঘটনা রোধের জন্য বর্তমানে সড়ক পরিবহন আইনে (২০১৮) যা আছে তা যথেষ্ট নয়। ওই আইনে নিরাপত্তা বিষয় নতুন অধ্যায় সংযোজন অথবা পৃথক আইন প্রণয়ন করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহির হোসেন চৌধুরী হলে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক কীভাবে নির্মাণ করতে হবে সে সম্পর্কে জাতিসংঘ একটি প্রেসক্রিপশন দিয়েছে। সড়কে গাড়িগুলো কীভাবে চলবে আমাদের আইনে আসেনি। আমরা দাবি করছি হয়তোবা একটা অধ্যায় যুক্ত করা হোক বা নতুন আইন করা হোক। গাড়ি চলাচলের জন্য সুন্দর জায়গা রাখতে হবে। সড়কে কোনো অফটেকশন রাখতে পারবেন না। জাতিসংঘের নিরাপদ সড়ক তৈরির বিষয়টি আমাদের সড়ক আইনের মধ্যে নেই। এর জন্যই ওই আইনে নিরাপত্তা বিষয় নতুন অধ্যায় সংযোজন অথবা পৃথক আইন প্রণয়নের দাবি জানচ্ছি।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিচসা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, সড়ককে অধিকতর নিরাপদ করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালেরসড়ক পরিবহন আইনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পাঁচটি পিলার বা ‘সেইফ সিস্টেমস অ্যাপ্রোচ (সড়ক ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ মোটরযান, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী, এবং দুর্ঘটনা পরবর্তী কার্যকর ব্যবস্থাপনা) পদ্ধতিতে একটি পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবি জানাই।

তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন বিধিমালা জারির বিষয়টি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হলেও এতে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। আমাদের বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ মূলত সড়ক পরিবহন আইন এবং সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা সংক্রান্ত। এই আইন ও বিধিমালা সড়ক নিরাপত্তা বিধিমালা নিশ্চিতকরণে যথেষ্ট নয়। কারণ জাতিসংঘের সেকেন্ড ডিকেড অব অ্যাকশন ফর রোড সেইফটি ২০২১-২০৩০ এ বর্ণিত পাঁচটি পিলার এবং বাংলাদেশ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বর্ণিত পাঁচটি পিলারের আলোকে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ করা হয়নি। তাই আমরা দাবি জানাচ্ছি দ্রুততার সঙ্গে পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করার।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিস্টেন সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর সিকদার, বাংলাদেশ এনজিও নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা  (সিইও) এএইচএম বজলুর রহমান, ইম্পেসিভ কমিউনিকেশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) খন্দকার হাসিবুজ্জামান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
এমএমআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।