নরসিংদী: নরসিংদীর রায়পুরায় পৃথক স্থানে ট্রেনের ধাক্কায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা-চট্রগ্রাম-সিলেট রেল পথে উপজেলার কড়ইতলা রেলক্রসিং এলাকায় একজন ও দুপুরে শ্রীনিধি রেলওয়ে স্টেশন আউটার এলাকায় অপরজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন, রায়পুরার মির্জাপুর ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে শ্রবণ প্রতিবন্ধী কাশেম মিয়া (৬৫)। তিনি পেশায় একজন সেলোমেশিন মেকানিক। আর চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের সুচেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে কর্ণ বিশ্বাস (৬২)। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকালে শ্রবণ প্রতিবন্ধী কাশেম মিয়া উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সাধুনগর গ্রামের পাশে থাকা রেল লাইন ধরে হাটছিলেন। এ সময় পেছন থেকে আসা ঢাকামুখী এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস তাকে ধাক্কা দিলে সে রেল লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। অপর দিকে কর্ণ বিশ্বাস দুপুরের শ্রীনিধি রেলস্টেশনের পশ্চিম পাশে আউটারে পাশ দিয়ে রেললাইন পাড় হতে গেলে চট্রগ্রাম অভিমুখী কর্নফুলি এক্সপ্রেসের ধাক্কায় রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত কাসেম মিয়ার স্বজন বৃদ্ধা ফজিলা বলেন, কাসেম সকালে বাড়ি থেকে বের হন। রেললাইন ধরে হেটে সাপমারা এলাকায় কাজের পাওনা টাকা আনতে যান। উভয় লাইনে একই সময় দুটো ট্রেন যাচ্ছিল। পিছন থেকে তাকে ধাক্কা দিয়ে রেললাইনের পাশে ফেলে দেন। ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। তারপর খবর পেয়ে বাড়ি নিয়ে এসে দাফন সম্পুর্ণ করা হয়।
নিহত কর্ণ বিশ্বাসের ছেলে তাপস বিশ্বাস বলেন, দুপুরে শ্রীনিধি রেলস্টেশনের পাশে বাবা ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হওয়ার সংবাদ পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসি। বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। যখন যে দিকে ইচ্ছে চলে যেতেন। ধারণা করা হচ্ছে মেয়ের বাড়ি উত্তর বাখরের দিখে যাচ্ছিলেন। মৃতদেহ অন্তেষ্টিক্রিয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ভৈরব রেলওয়ে পুলিশের উপ পরিদর্শক হাসানুজ্জামান রুমেল বলেন, আমরা দুর্ঘটনার বিষয়ে খবর পেয়ে এলাকার স্টেশন মাস্টারদের জানালে তারা এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তারপরও খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। খোঁজ পেলে বিস্তারিত জানানো যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
এসএম