ঢাকা: চলমান জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে বন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষা, টিলা ও মাটি কাটা রোধ ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধে মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এ ব্যাপারে তাদেরকে (ডিসি) বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে পরিবেশ অধিদফতরের অফিস না থাকা ১৪ জেলার ডিসিরা চেয়েছেন অফিস আর জনবল।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ডিসি সাহেবদের অনেক দায়িত্ব। আমাদের টিলা কাটা, বন উজাড়, গাছ কাটা, মাটি কাটা, অবৈধ ইট ভাটা পলিথিন-প্লাস্টিক, বন্য প্রাণী-পাখি নিধন এগুলো পরিবেশের ক্ষতি করছে। এগুলো বন্ধে এবং পরিবেশ প্রতিবেশ সুরক্ষার জন্য আমাদের আইন অনুযায়ী তারা যাতে মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করেন, সেজন্য আমরা তাদের বলেছি। তারা সহযোগিতা করবেন বলে আমাদের কথা দিয়েছেন। আমরাও তাদের সরকারি দায়িত্ব ও করণীয়গুলো জানিয়েছি।
জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে কোনো দাবি বা প্রস্তাব ছিল কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা অনেক কিছু জানতে চেয়েছেন। অনেক জায়গায় আমাদের পরিবেশ অধিদফতরের অফিস নেই। বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ৫০ টিতে অফিস আছে, ১৪ টিতে এখনও হয়নি। তারা অফিস ও জনবল চেয়েছেন। এই ব্যাপারে আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, বাকি ১৪টি জেলায় আমরা পরিবেশের অফিস করব এবং জনবল নিয়োগ দেব।
অবৈধ ইটভাটা বন্ধে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে শাহাব উদ্দিন বলেন, লাইসেন্সবিহীন যেসব ইটভাটা আছে, সেগুলো বন্ধের জন্য আমরা তাদের তৎপর হতে বলেছি।
পরিবেশবান্ধব ইটভাটাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, পরিবেশবান্ধব ইট বা ব্লকের দিকে আমরা যাচ্ছি। ২০২৫ সালে সরকারি স্থাপনায় শতভাগ পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহার করা হবে। সে আলোকে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব ইট তৈরিতে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা ও বরাদ্দ বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
এমকে/এমএমজেড