ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পাঠ্যবইয়ের বেশিরভাগ ভুলই ১০ বছর আগের: শিক্ষামন্ত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
পাঠ্যবইয়ের বেশিরভাগ ভুলই ১০ বছর আগের: শিক্ষামন্ত্রী

চাঁদপুর: পাঠ্যবইয়ের বেশিরভাগ ভুলই ১০ বছর আগের জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত যে ভুলগুলো বেরিয়েছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছে ১০ বছর আগের ভুল। আমি খুব খুশি যে, ১০ বছর আগের বই-ই সবাই পড়ছে।

এতে ভবিষ্যতে আমাদের কোনো বইয়ে ত্রুটি থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, মুখস্থ করে কিন্তু সৃজনশীল মানুষ হওয়া যায় না। হাতে-কলমে শেখাতে হবে। তাহলে সেটা আর ভুলবে না এবং আত্মস্থ করবে। নতুন শিক্ষাক্রমে এই ধরনের শিক্ষাক্রমই অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছি।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীর তীরে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিক্ষা কর্মসূচির অংশ হিসেবে অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা তরীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় হাওড় ও চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা যখন স্কুলে যেতে পারে না, সেই সময় স্কুল বাচ্চাদের কাছে চলে যাবে। এই ধারণা নিয়েই অনেক আগে থেকে ৫শ’ নৌকা দিয়ে সেবা দিয়ে আসছে। সেগুলোর বেশিরভাগই এখন নৌকা স্কুলে পরিণত করেছে। সেগুলোরই একটি এখন বিভিন্ন জেলা ভ্রমণ করছে।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিমারির সময় আমরা অনলাইনে ক্লাস নিয়েছি। প্রয়োজনে নৌকা নিয়েও যেতে হবে। মূল কথা হচ্ছে, আমাদের শিক্ষায় একটা রূপান্তর ঘটছেই। এটাও রূপান্তরের একটি অংশ। ব্র্যাক বিশ্বব্যাপী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের অভিজ্ঞতা থেকেই এই শিক্ষাতরী নিয়ে জেলায় জেলায় যাচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দেখি অনেক শিক্ষার্থী গণিত কিংবা বিজ্ঞান বিষয় ভয় পায়। অনেকে বলে, বিজ্ঞান ভয়ের বিষয়। কিন্তু বিজ্ঞানও যে মজার, গনিতও যে আনন্দের বিষয় এবং আনন্দ নিয়ে শেখা যায়, কিন্তু তা কি পদ্ধতিতে শেখালে আনন্দদায়ক হয়, সেই পদ্ধতি আমাদের ব্যবহার করতে হবে।

নতুন পাঠ্যক্রমের বই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের বিশাল কর্মযজ্ঞের মধ্যে শুধু মাধ্যমিকের ৬৫ ভাগ বই নতুন করতে হয়েছে। এই ৬৫ ভাগ বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি অক্ষর আমরা সবাই দেখেছি, তা কিন্তু নয়। অনেকেই খুব কম দেখতে পেরেছি। কিন্তু তারপরেও সেখানে যদি কোনো ভুল থেকে থাকে, সেটি অনিচ্ছাকৃত ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। যদি কেউ ইচ্ছে করে করে থাকে তার জন্য তদন্ত কমিটি করেছি।

দীপু মনি বলেন, আপনারা যারা এখানে উপস্থিত আছেন, মানুষ বানর থেকে হয়েছে কেউ বইতে পড়ে দেখেছেন। কেউ দেখেননি এবং আমাদের বইতেও নেই। বইতে লেখা আছে ‘শিক্ষার্থী প্রশ্ন করেছে মানুষ কি বানর থেকে এসেছে? শিক্ষক বলেছেন না। মানুষ বানর থেকে আসেনি। বানর এবং শিম্পাঞ্জি মানুষের পূর্ব পুরুষ এ কথা ঠিক নয়। এই কথাটি বইতে তিনবার বলা আছে। অথচ একটি গোষ্ঠী এটি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

ব্র্যাকের শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, মাইগ্রেশন পরিচালক সাফী রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর আল-আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলাম, ব্র্যাকের শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও মাইগ্রেশন কর্মসূচির প্রধান প্রফুল্ল কুমার বর্মন, ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা সমন্বয়ক প্রদীপ কুমার রায়সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী ফিতা কেটে শিক্ষাতরী উদ্বোধন করেন এবং মূল্যবোধ, গণিত ও বিজ্ঞান তরী পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।