ঢাকা: সুন্দরবনে বাঘের মুখ থেকে ফিরে আসা আহত অনুকূল গাইনের (৪০) শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। আশঙ্কাজনক অবস্থাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরাতন ভবনের চারতলার জেনারেল আইসিইউতে চিকিৎসা চলছে তার।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। আইসিইউর ১৭ নম্বর বেডে তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাঘের থাবায় অনুকূলের মেরুদণ্ড, পাঁজর ও পেটে ক্ষত হয়েছে।
অবিবাহিত অনুকূল গাইনের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার আমর বুনিয়া গ্রামে। বাবার নাম মৃত মুকুন্দ গাইন। তার বৃদ্ধ মা কুমুদিনী গাইন (৯০) শারীরিকভাবে অক্ষম।
হাসপাতালে সঙ্গে থাকা চাচাতো ভাই নিধির চন্দ্র গাইন জানান, তাকে যে অবস্থায় ঢামেকে নিয়ে আসা হয়েছিল এখনো কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। সে এখনো অচেত, দুই হাত বেডের পাশে বেঁধে রেখেছেন চিকিৎসকরা। তা না হলে হাত দিয়ে অক্সিজেন মাস্ক, ভেন্টিলেটর খুলে ফেলে।
তিনি জানান, গত শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে মোড়লগঞ্জের সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের সুধীরের সিলা এলাকায় চরগড়া দিয়ে মাছ ধরতে যান অনুকূল। সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশী বারেক শেখের ছেলে মাহবুব শেখ (৩৫)। এসময় একটি বাঘ হঠাৎ অনুকুলের ওপর আক্রমণ করে। তখন মাহবুবের ডাক-চিৎকারে আমরবুনিয়া গ্রামের লোকজন এসে অনুকুলকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, হাসপাতালে আইসিইউতে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকরা উপস্থিত থাকেন। সব রোগীকেই মিনিটে মিনিটে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ গুরুতর রোগীদের আইসিইউতে নেওয়া হয়।
পরিচালক আরও জানান, বাঘের থামায় মুমূর্ষু এ যুবককে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
বাঙরাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
এজেডএস/এমএমজেড