ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় বিশ্বস্ত অংশীদার জাপান: রাষ্ট্রদূত 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় বিশ্বস্ত অংশীদার জাপান: রাষ্ট্রদূত  জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি

ঢাকা: জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেছেন, ২৮ ডিসেম্বরের পরে আমি আবারও এমআরটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে আনন্দিত। জাপান বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখবে।

 

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দুদেশের বন্ধুত্বের দৃঢ়তা প্রসঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজানে হামলায় মেট্রোরেলের কাজে নিয়োজিত জাপানি প্রকৌশলী-কর্মকর্তারা নিহত হন। তারপরও জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে সঙ্গে থাকবে।

জাপানের মতো বাংলাদেশও মেট্রোরেলে একই সুবিধা পাবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন,এমআরটি লাইন-১ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২৫ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে। আপনারা যদি জাপান ভ্রমণ করেন তবে দেখবেন সরাসরি এয়ারপোর্ট বিল্ডিং থেকে আপনারা মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন।  

এমআরটি লাইন-১ এর মাধ্যমে বাংলাদেশেও একই সুবিধা পাওয়া যাবে। এমআরটি লাইন- ১,৫ ও ৬ এর মাধ্যমে গণপরিবহন ব্যবস্থায় স্বপ্নের সংযোগ, বাস্তবতায় রূপ নেবে- বলেন জাপানি রাষ্ট্রদূত।  

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় মেট্রোরেল হবে উড়াল ও পাতাল পথের সমন্বয়ে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, দুটি রুটে ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ হবে। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত- এই রুটে মাটির নিচ দিয়ে চলবে রেল। এটি ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রুট।

এই রুটে স্টেশন হবে মোট ১২টি। এগুলো হচ্ছে- বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর।

আর পূর্বাচল রুটে নতুন বাজার স্টেশনটি হবে পাতালে। এরপর নতুন বাজার থেকে পূর্বাচলের নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। এ রুটে আবার স্টেশন হবে নয়টি।

এগুলো হচ্ছে- নতুন বাজার, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা, পুলিশ অফিসার্স হাউসিং সোসাইটি, মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল পূর্ব, পূর্বাচল টার্মিনাল ও পিতলগঞ্জ ডিপো।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, ২০৩০ সালের মধ্যে এই ছয়টি মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ পর্যায়ক্রমে তিন ধাপে শেষ করা হবে।  

দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২৮ সালের মধ্যে এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুটের নির্মাণকাজ শেষ করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ে ২০৩০ সালের মধ্যে এমআরটি লাইন-৫ সাউদার্ন রুট, এমআরটি লাইন-২ এবং এমআরটি লাইন-৪ নির্মাণকাজ শেষ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৩
এনবি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।