ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লাবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরে 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লাবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরে 

বাগেরহাট: বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩৩ হাজার ম্রেট্রিকটন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি এস পাইনেল’।  

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৭টায় বন্দরের ফেয়ারওয়েতে জাহাজটি নোঙর করেছে।

এর আগে ২৭ জানুয়ারি ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩৩ হাজার মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে ছেড়ে আসে  জাহাজটি। রাতেই বিদেশি জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজে কয়লা খালাস শুরু হবে। পরবর্তীতে জাহাজে করে এই কয়লা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে নেওয়া হবে। সেখান থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা ইয়ার্ডে নেওয়া হবে।

পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি এস পাইনেল’ এর স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক খোন্দকার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, রাত সোয়া ৭টার দিকে ৩৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে বন্দর চ্যানেলের ফেয়ারওয়ে বয়ায় পৌঁছেছে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি এস পাইনেল’। রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের আমদানিকৃত এই কয়লা রাতেই খালাস শুরু হবে। এরপর লাইটার জাহাজে করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।  

এছাড়া আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আরও ৫৫ হাজার মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে বন্দরে আসার কথা রয়েছে আরও একটি বিদেশি জাহাজ।

এদিকে গেল ৪ ফেব্রুয়ারি রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইদ একরাম উল্লাহ বলেছিলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। আমাদের সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যেই ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আসবে। কয়লা এলেই আবারও তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদনে যাবে। এছাড়া নিয়মিত কয়লা আনতে পারলে জুনের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটও চালুর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগে গেল বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। ১৭ ডিসেম্বর থেকে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়া শুরু হয়। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর মাত্র ২৭ দিনের মাথায় ডলার সংকটের কারণে কয়লা না আসায় ১৪ জানুয়ারি রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
 
বাংলাদেশ  সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।