ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেমের ফাঁদে ফেলে বন্ধুসহ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
প্রেমের ফাঁদে ফেলে বন্ধুসহ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

নাটোর: প্রেমের ফাঁদে ফেলে নাটোরে এক স্কুলছাত্রীকে বন্ধুসহ ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার পর বন্ধু আব্দুল মজিদ ও তার সহযোগী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তবে মুল আসামি তামিম আহমেদ পলাতক রয়েছে।

বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে সদর উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের একটি কলাবাগানে ও বুধবার সকাল ৯টার দিকে দ্বিতীয় বার ধর্ষণের শিকার হয় হয় ওই স্কুলছাত্রী।

ভুক্তভোগীর বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলায়। সে সেখানকার একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

গ্রেফতার আব্দুল মজিদ সদর উপজেলার মাটিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে এবং সিরাজুল ইসলাম একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের সোনাউল্লার ছেলে। মুল অভিযুক্ত চাঁনপুর গ্রামের কালাম উদ্দিনের ছেলে তামিম আহমেদ পলাতক রয়েছে।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, সম্প্রতি রাজশাহীর তানোর উপজেলার একটি স্কুলের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে নাটোর সদর উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের কালাম উদ্দিনের ছেলে তামিম আহমেদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।  

ওই প্রেমের সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তানোর থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে বেড়ানোর কথা বলে তামিম নাটোরে নিয়ে আসে। এরপর দিনের বেলায় তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থান ঘোরে। পরে ওই ছাত্রীকে বাড়ির অদুরে একটি কলাবাগানে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে তামিম।

বুধবার সকালে তামিম তার বন্ধু মজিদের কাছে ওই স্কুল ছাত্রীকে রেখে চলে যায়। পরে মজিদ তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর দুপুরের দিকে তাকে শহরের বনবেলঘরিয়া বাইপাসে রেখে চলে যায় মজিদ।

এ অবস্থায় স্কুল ছাত্রীটির অস্বাভাবিক আচরণ দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে তার মুখে ঘটনা শুনে তারা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয় এবং পরিবারকে জানানো হয়। এরপর বিকেলে মেয়েটির বাবাসহ পরিবারের লোকজন থানায় আসেন।

পরে তার বাবা বাদি হয়ে তামিম আহমেদ, মজিদ ও তাদের সহযোগী সিরাজুল ইসলামের নামসহ অজ্ঞাত আরও দুইজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে নিজ নিজ বাড়ি থেকে মজিদ ও সিরাজুলকে গ্রেফতার করা হয়। আর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পরই মূল অভিযুক্ত তামিম পালিয়ে যায়। তাকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। পরে এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।