ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষাসফরের বাস উল্টে নিহত ২, আহত ৪০  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
শিক্ষাসফরের বাস উল্টে নিহত ২, আহত ৪০  

যশোর: যশোরের বাকড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাসফরের একটি বাস উল্টে দুজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।

 

বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে দেখে ফেরার পথে এ দুঘর্টনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিশ্বজিৎ কুমার পাল। নিজেদের মধ্যে পাল্লা দিয়ে গিয়ে এ দুর্ঘটনার কারণ বলে জানান তিনি।  

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, বাকড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ বিশ্বাস (৫০) এবং ওই বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী সুদিপ্ত বিশ্বাস (৩০)।  

আহতরা সবাই যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ। আহতদের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফরিদপুর ও যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাকড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিশ্বজিৎ কুমার পাল বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে মোট ৩টি বাসে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং অফিস স্টাফ গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে শিক্ষাসফরে যান। সারাদিন গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থান ঘুরে সন্ধ্যার পরে সমাধিস্থল থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাস তিনটি যশোরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ফেরার পথে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি বাটিয়াপাড়া মোড়ে দ্বিতীয় বাসটি প্রথম বাসটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। সড়ক থেকে বাসটি উল্টে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে যায়। এসময় দ্বিতীয় বাসে থাকা অভিভাবক সদস্য বিদুৎ কুমার বিশ্বাস ঘটনাস্থলে মারা যান। বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী সুদিপ্ত বিশ্বাসকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।  

তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিস, কাশিয়ানী থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে কাশিয়ানী ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ২০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ২০ জনকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।  

একের পর এক অ্যাম্বুলেন্সে আহত শিক্ষার্থীদের নিয়ে যশোর হাসপাতালে আসলে শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল চত্বরে রোগীর স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।  

এদিকে দুর্ঘটনার খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানসহ, প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও সামাজিক অঙ্গনের বিভিন্ন নেতারা।  

জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, দুর্ঘটনায়কবলিত সব শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সবধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার যাবতীয় অর্থ ও সহযোগিতা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। এই ঘটনায় আমরা শোকাহত।  

যশোর জেনারেল হাসাপাতারের ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, যশোর জেনারেল হাসাপাতালে ১৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া একজনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। আর একজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।