ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১৭ কর্মচারীর পেনশন পরিশোধ করল পটুয়াখালী পৌরসভা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
১৭ কর্মচারীর পেনশন পরিশোধ করল পটুয়াখালী পৌরসভা

পটুয়াখালী: পটুয়াখালী পৌরসভায় সাধারণ শাখায় ১৯৯২ সালের পহেলা আগস্ট চাকরিতে যোগদান করেন আব্দুল মজিদ প্যাদা। অনেক বছর নগরবাসীকে সেবা দিয়ে ২০০১ সালের পহেলা জানুয়ারি অবসরে যান তিনি।

এর মধ্যে জীবনের অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছেন।

অবসরের পরে নিজের কর্মস্থল থেকে আনুতোষিক সম্মানিটুকুও পাননি তিনি। চিকিৎসার অভাবে রোগের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে কাটাচ্ছেন জীবন। শেষ বয়সে আনুতোষিক সম্মানির আশা ছেড়ে দিয়ে রোগশোক ও অভাব অনটনে দিন কাটাচ্ছিলেন আব্দুল মজিদ।

হঠাৎ করেই পটুয়াখালী পৌরসভা থেকে চিঠি পেলেন তার অবসরকালীন পেনশন পাবেন, তাও এককালীন ছয় লাখ টাকা। এতে হাফ ছেড়ে বাঁচলেন তিনি। মরার আগে অন্তত কয়েকটা দিন শান্তিতে কাটাতে পারবেন।

শুধু আব্দুল মজিদ নন, পটুয়াখালী পৌরসভা থেকে অবসরপ্রাপ্ত ১৭ জন কর্মচারী এ রকম পেনশন বঞ্চিত ছিলেন। এবার কেউ ২২ বছর, কেউ ২০ বছর, কেউ ১০ বছর, কেউ বা পাঁচ বছর পর নিজের প্রাপ্যটুকু বুঝে পেলেন। এরই মধ্যে মৃত্যু হয়েছে অনেকের।

তবে পৌর কর্মচারীরা বলছেন, কর্মচারীদের মধ্যে এককালীন পেনশনের এক কোটি এক লাখ ২০ হাজার ৮২৫ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে বিরল ঘটনা।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌরসভার হলরুমে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চেক হস্তান্তর করেন মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ।

সারাদেশের মধ্যে পটুয়াখালী পৌরসভাই প্রথম কোনো পৌরসভা, যেখানে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের এককালীন অবসরপ্রাপ্ত পেনশনের চেক দেওয়া হলো।  

এসময় পটুয়াখালী পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মৃত মো. মনির হোসেন পরিবারের পক্ষে স্ত্রী মাকসুদা আক্তার সাত লাখ ২৪ হাজার ৫১৭ টাকা, মৃত জসিম উদ্দিনের পক্ষে স্ত্রী আসমা বেগম দুই লাখ টাকার চেক, মৃত শেখর কুমার বিশ্বাসের পক্ষে কল্পনা রানী বিশ্বাস ১০ লাখ টাকার চেক, মৃত এইচএম নজরুল ইসলামের পক্ষে স্ত্রী হামিদা বেগম ১৫ লাখ টাকার চেক, মৃত সজল কুমার দাসের স্ত্রী কৃঞ্চারানী দাস আট লাখ টাকার চেক, মৃত মো. জালাল তালুকদারের পক্ষে স্ত্রী রানী বেগম তিন লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৯ টাকার চেক ও মৃত আলতাফ হোসেনের পক্ষে স্ত্রী রোকেয়া বেগম ১০ লাখ টাকার চেক পেয়েছেন৷ 

এছাড়া আব্দুল মজিদ প্যাদা ছয় লাখ টাকার চেক, মো. লতিফ আকন পাঁচ লাখ টাকার চেক, সৈয়দ আব্দুল মোতালেব দুই লাখ ৩৮ হাজার ৭২৯ টাকার চেক, মমতাজ বেগম পাঁচ লাখ টাকার চেক, মো. মঞ্জুর আহমেদ আট লাখ টাকার চেক, মো. আক্তারুজ্জামান ছয় লাখ টাকার চেক, আব্দুল ওয়াহেদ গাজী পাঁচ লাখ চেক, মদন কুমার ঘোষাল আট লাখ টাকার চেক, মো. সামসুল আলম ১০ লাখ টাকার চেক ও আব্দুল মজিদ ১০ লাখ টাকার চেক নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।