ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ পৌষ ১৪৩১, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জাল সনদে লাইসেন্স নিয়ে দলিল লেখক সভাপতি!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
জাল সনদে লাইসেন্স নিয়ে দলিল লেখক সভাপতি! সালথা উপজেলার দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এনায়েত হোসেন চাঁন মিয়া

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথা উপজেলার দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এনায়েত হোসেন চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে জাল সনদে লাইসেন্স নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  

স্থানীয় ওলিদ ফকির, সুজন মাতুব্বর, ফরহাদ শিকদার ও মঙ্গল শেখ এ অভিযোগ দিয়েছেন।

নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহা-পরিদর্শক বরাবর আবেদন করেছেন তারা।

অভিযুক্ত দলিল লেখক সমিতির সভাপতি উপজেলার কাঠিয়ার গট্টি গ্রামের মো. দলিল উদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে।  

অভিযোগপত্রে তারা উল্লেখ করেন, এনায়েত হোসেন চাঁন মিয়া জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নেন। যার লাইসেন্স নং-১৪/২০০৭। বর্তমানে লাইসেন্সটি দিয়ে সালথা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল লেখক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জাল সনদ নিয়েই দেড় বছরের বেশি সময় ধরে সালথা উপজেলার দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হয়ে আছেন তিনি।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে মহা-পরিদর্শক নিবন্ধন অধিদপ্তর থেকে তদন্তের জন্য ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার ফয়সাল হোসেনকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি সরেজমিনে সালথা উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অফিস পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার ফয়সাল হোসেন বলেন, আমি তদন্ত শুরু করেছি, সিদ্ধান্তে আসতে একটু সময় লাগবে। ঘটনাটির সঠিক তদন্তে মাদরাসা বোর্ডে খোঁজ নিতে হবে। অভিযুক্ত কোনো মূল সার্টিফিকেট দেখাতে পারেনি, একটি ফটোকপি দেখিয়েছেন।

কোনো সনদই জাল নয় জানিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সালথা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এনায়েত হোসেন চাঁন মিয়া।  

তিনি বলেন, আমার কোনো সার্টিফিকেট জাল নয়। স্থানীয় একটি রাজনৈতিক গ্রুপ ব্যক্তিস্বার্থে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। কয়েকজন ব্যক্তি আমার কাছে চাঁদা দাবি করেছেন। আমি অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার ক্ষতি করতে উঠেপড়ে লেগেছে। চাইলে আমার সব সার্টিফিকেট এখনই দেখাতে পারি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।