ঢাকা, বুধবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২০২৬ সালে মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে কার্যক্রম শুরু হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
২০২৬ সালে মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে কার্যক্রম শুরু হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: ২০২৬ সালে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মাতারবাড়ী বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এ সময় অন্যদের মধ‍্যে সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, মাতারবাড়ী বন্দর প্রকল্পের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মো. ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর দৃশ্যমান হয়ে গেছে। ২০২৬ সালে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে। এই লক্ষ‍্যে আগামী জুলাই নাগাদ জেটি ও কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে, অর্থ ও সময় বাঁচবে এবং অর্থনীতিতে সুপ্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ এখনকার স্মার্ট দেশ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে। মাতারবাড়ী বন্দর বাণিজ‍্যিক হাব হবে। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফ লাইন। মাতারবাড়ী বন্দরও প‍্যারালাল অর্থনীতির লাইফ লাইন হবে। বাংলাদেশে যোগাযোগ ব‍্যবস্থায় ব‍্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।  বাংলাদেশে সক্ষমতা তৈরি হয়ে গেছে। গত এক মাসে পশ্চিমা দেশের ভিআইপিরা দেশে এসেছেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা জেনে গেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রথম এবং একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি অনুমোদনের পরে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে ড্রইং ডিজাইনের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়াও অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পার্শ্বে দুই হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পার্শ্বে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কনটেইনার ইয়ার্ডসহ বন্দর-সুবিধাদি নির্মাণের জন্য তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
এসকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।